ভোটারের লাইনে মহিলারা। ছবি পিটিআই।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পঞ্চম দফার ভোটে দেশের ৪৯টি আসনে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৬০.০৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। সবচেয়ে বেশি পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যের সাতটি আসনে ভোটদানের হার ৭৪.৬৫ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে মহারাষ্ট্রে। সে রাজ্যের ১৩টি আসনে ভোটদানের হার ৫৪.২৯ শতাংশ। বিহারের পাঁচটি আসনে ভোটদানের হার ৫৪.৮৫ শতাংশ। জম্মু-কাশ্মীরের একটি আসনে ভোট পড়েছে ৫৬.৭৩ শতাংশ। ঝাড়খণ্ডের তিনটি আসনে ভোটদানের হার ৬৩.০৭ শতাংশ। লাদাখের একটি আসনে ভোটের হার ৬৯.৬২ শতাংশ। ওড়িশার পাঁচটি আসনে ৬৭.৫৯ শতাংশ এবং উত্তরপ্রদেশের ১৪টি আসনে ৫৭.৭৯ শতাংশ ভোট পড়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, দুপুর তিনটে পর্যন্ত ভোটদানের হারে এগিয়ে বাংলা। ভোট পড়েছে ৬২.৭২ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়ল মহারাষ্ট্রে (৩৮.৭৭ শতাংশ)। এ ছাড়াও বিহারে ৪৫.৩৩ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে ৪৪.৯ শাতংশ, ঝাড়খণ্ডে ৫৩.৯ শতাংশ, লাদাখে ৬১.২৬ শতাংশ, ওড়িশায় ৪৮.৯৫ শতাংশ এবং উত্তরপ্রদেশে ৪৭.৫৫ শতাংশ।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, দুপুর ৩টে পর্যন্ত দেশের ৪৯ আসনে ভোট পড়ল ৪৭.৫৩ শতাংশ।
ভোটদানের হার নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সকাল ১১টা পর্যন্ত এগিয়ে ছিল পশ্চিমবঙ্গ। তবে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটদানের হারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আটটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে লাদাখে। সেখানে ভোট পড়েছে ৫২.০২ শতাংশ। তার পরেই আছে পশ্চিমবঙ্গ (৪৮.৪১ শতাংশ)। এ ছাড়াও ঝাড়খণ্ডে ভোট পড়েছে ৪১.৮১ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৩৯.৫৫ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৪.৭৯ শতাংশ, বিহারে ৩৪.৬২ শতাংশ, ওড়িশা ৩৫.৩১ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে মহারাষ্ট্রে (২৭.৭৮ শতাংশ)। দেশের ৪৯ আসনে গড় ভোট পড়ল ৩৬.৭৩ শতাংশ।
ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর সোমবার নিজের কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর পুত্র অর্জুনও।
অমেঠী লোকসভার বিদায়ী সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে এ বারও প্রার্থী করেছে বিজেপি। সোমবার সকাল থেকেই নিজের কেন্দ্রের ভোট পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন স্মৃতি। অমেঠী লোকসভার অন্তর্গত গৌরীগঞ্জ গ্রামে ভোটও দেন তিনি। নিজের গ্রামে ভোট দিতে পেরে খুশি স্মৃতি। একই সঙ্গে সকলকে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বানও জানান তিনি। ২০১৯ সালে লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী রাহুলকে হারিয়েছিলেন স্মৃতি। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে কিশোরীলাল শর্মাকে প্রার্থী করেছে হাতশিবির।
দেশের ৪৯ আসনের মধ্যে সোমবার উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীতে ভোটগ্রহণ চলছে। এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে রাহুল গান্ধীকে। রায়বরেলীর ভোটার না হলেও ভোটের দিন নিজের কেন্দ্রেই রয়েছেন তিনি। পুজো দিলেন হনুমান মন্দিরে।
কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম চার ঘণ্টায় দেশের ৪৯ আসনে গড় ভোটদানের হার ২৩.৬৬ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এ রাজ্যে ভোটদানের হার ৩২.৭ শতাংশ। তার পরেই আছে লাদাখ (২৭.৮৭ শতাংশ)। ভোটদানের হারে তৃতীয় স্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ (২৭.৭৬ শতাংশ)। এ ছাড়াও ঝাড়খণ্ডে ভোট পড়েছে ২৬.১৮ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে ২১.৩৭ শতাংশ, বিহারে ২১.১১ শতাংশ, ওড়িশা ২১.০৭ শতাংশ এবং মহারাষ্ট্রে ১৫.৯৩ শতাংশ।
উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বী লোকসভা কেন্দ্রের হিসামপুর মাধো গ্রামের এক বুথে ভোট বয়কটের ডাক দিলেন গ্রামবাসীরা। ওই গ্রামের সিরাথুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রের এক বুথে ভোট দিতে গেলেন না গ্রামবাসীরা। ওই বুথে ১৭০০ জন ভোটারের নাম নথিভুক্ত ছিল। কিন্তু কেউই ভোট দিতে আসেননি। ভোটারদের দাবি, কোনও জনপ্রতিনিধিই কথা রাখেন না। রাস্তা, রেল পরিষেবা নিয়ে দীর্ঘ দিনের অভিযোগ গ্রামবাসীদের। তবে প্রশাসনের তরফে কোনও আশ্বাস না মেলায় ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
এ বারের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের মথুরা থেকে অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ হেমা মালিনীকে। দ্বিতীয় দফায় এই আসনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মথুরা প্রার্থী হলেও হেমা মুম্বইয়ের ভোটার। সোমবার, পঞ্চম দফায় মুম্বইয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কন্যা এষা দেওলও।
ভোট দিয়েছেন অভিনেতা ধর্মেন্দ্র।
কমিশন সূত্রে খবর,সকাল ৯টা পর্যন্ত বাংলার সাত-সহ দেশের ৪৯টি লোকসভা আসনে সামগ্রিক ভাবে ভোট পড়ল ১০.৪ শতাংশ। ভোটদানের হারে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। এ রাজ্যে ভোট পড়েছে ১৫.৩৫ শতাংশ। এ ছাড়াও উত্তরপ্রদেশে ভোটদানের হার ১২.৮৯ শতাংশ, ঝাড়খণ্ডে ১১.৬৮ শতাংশ, লাদাখে ১০.৫১ শতাংশ, বিহারে ৮.৮৬ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে ৭.৬৩ শতাংশ, ওড়িশা ৬.৮৭ শতাংশ এবং মহারাষ্ট্রে ৬.৩৩ শতাংশ।
সকাল ৯টা পর্যন্ত ৪৯ আসনে ভোটদানের হার ১০.২৮ শতাংশ। নির্বাচন সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে।
ভোটাধিকার প্রয়োগ করে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, ‘‘এটা প্রত্যেক ভারতীয়ের কাছে গর্বের মুহূর্ত। আমি নির্বাচন কমিশন এবং সারা দেশে ভোটের কাজ করা প্রত্যেক কর্মকর্তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে চাই।’’
সকাল থেকেই বলি তারকাদের ভোট উৎসবে শামিল হতে দেখা যাচ্ছে। সকাল সকাল অক্ষয় কুমার ভোট দেন। তার পর দেখা যায় অভিনেত্রী সান্যা মলহোত্রকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে।
মুম্বইয়ে ভোট দিলেন অভিনেত্রী জাহ্নবী কপূরও। ভোট দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি সকলকে অনুরোধ করব, আপনারা বেরিয়ে আসুন এবং ভোট দিন।’’ অভিনেতা রাজকুমার রাওকে সকাল সকাল ভোট দিতে দেখা যায়।
মুম্বই উত্তর লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল ভোট দিলেন নিজের কেন্দ্রে। ভোট দিয়ে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি মুম্বইবাসী আজ বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসবেন এবং রেকর্ড সংখ্যায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।’’
সোমবার সকাল সকাল নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন শিল্পপতি অনিল অম্বানী। দক্ষিণ মুম্বই লোকসভা কেন্দ্রের কোলাবাতে ভোট দিলেন তিনি।
সকাল সকালই ভোট দিলেন অভিনেতা অক্ষয় কুমার। মুম্বইয়ের এক ভোট কেন্দ্রে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন তিনি। ভোট দিয়ে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি চাই আমার ভারত বিকশিত, মজবুত থাকুক। সেটা মাথায় রেখেই আমি ভোট দিয়েছি। সকলকে বলব ভোট দেওয়ার জন্য।’’ সম্প্রতি ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন বলিউডের ‘খিলাড়ি’। এটাই দেশে তাঁর প্রথম ভোটদান। আগে তিনি কানাডার নাগরিক ছিলেন।
ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে ভোটারদের ভোট উৎসবে শামিল হওয়ার আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলা-সহ পাঁচ ভাষায় পোস্ট করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আটটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪৯টি আসনের যে সব কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে, সেখানে রেকর্ড সংখ্যায় ভোটদানের জন্য সকলের কাছে আর্জি জানাচ্ছি। বিশেষ করে মহিলা এবং তরুণ ভোটারদের কাছে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগের আবেদন জানাচ্ছি।’’
ঘড়ির কাঁটায় সকাল সাতটা। শুরু হল পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ। দেশের ৪৯ আসনে সোমবার ভোটগ্রহণ চলছে।
সোমবার পঞ্চম দফায় একঝাঁক তারকা প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ভোটারেরা। সোমবার নজরে থাকবে রায়বরেলী আসনে। এই আসনে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যে টানাপড়েন দেখা গিয়েছিল। একেবারে শেষ পর্যায়ে রাহুল গান্ধীকে প্রার্থী করে হাতশিবির। এ ছাড়াও অমেঠী আসনের দিকেও নজর থাকবে। এই কেন্দ্রে লড়ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। লখনউ থেকে লড়ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সারণ লোকসভা কেন্দ্রে আরজেডি এ বার প্রার্থী করেছে লালু প্রসাদ-কন্যা রোহিনীকে। এ ছাড়াও নজরে থাকবেন ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রার্থী ওমর আবদুল্লা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল।