গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
লোকসভা ভোটে পঞ্জাবের ১৩টি আসনের মধ্যে প্রথম দফায় সাতটিতে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করল শিরোমণি অকালি দল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দলের সভাপতি তথা পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুখবীর সিংহ বাদলের স্ত্রী তথা ভাতিন্ডার বিদায়ী সাংসদ হরসিমরত কউর বাদলের নাম নেই প্রথম তালিকায়। প্রসঙ্গত, ১৩টি লোকসভা আসনের জন্য শেষ দফায়, অর্থাৎ ১৩ জুন ভোটগ্রহণ হবে।
পঞ্জাবের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী দলজিৎ সিংহ চিমাকে গুরদাসপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে অকালি দল। আর এক প্রথম সারির নেতা, আনন্দপুর সাহিবের প্রাক্তন সাংসদ প্রেম সিংহ চন্দুমাজ়রাকে তাঁর পুরনো আসনেই ফের টিকিট দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, পটীয়ালা থেকে প্রাক্তন বিধায়ক এনকে শর্মা, অমৃতসর থেকে প্রাক্তন মন্ত্রী অনিল জোশী, ফতেগড় সাহিব থেকে বিক্রমজিৎ সিংহ খালসা, ফরিদকোট থেকে রাজবিন্দর সিংহ এবং সঙ্গুরুর লোকসভা আসন থেকে ইকবাল সিংহ ঝুন্ডারকে প্রার্থী করা হয়েছে। ২০১৯-এ ফিরোজপুর আসনে জয়ী সুখবীর আগেই ভোটে না-লড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন।
নরেন্দ্র মোদী সরকার তিনটি বিতর্কিত কৃষি বিল পাশ করানোয় প্রতিবাদ জানিয়ে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এনডিএ ছেড়েছিল অকালি দল। সুখবীরের স্ত্রী হরসিমরত কউর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েছিলেন। কিন্তু তার দু’বছর পরে পঞ্জাবের বিধানসভা ভোটে আলাদা ভাবে লড়ে দু’দলেরই ভরাডুবি হয়েছিল। সেই ‘শিক্ষা’ নিয়েই এ বার লোকসভা ভোটে দু’দল আবার হাত মেলাতে পারে বলে জল্পনা ছিল। কিন্তু তা উড়িয়ে একক শক্তিতে লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করেন পঞ্জাবের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদলের পুত্র সুখবীর।
পঞ্জাবে ১৩টি লোকসভা আসন রয়েছে। গত লোকসভায় কংগ্রেস পঞ্জাবে আটটি আসনে জয়ী হয়েছিল। অকালি দল এবং বিজেপি জোট বেঁধে লড়াই করে দু’টি করে মোট চারটি আসন পেয়েছিল। আম আদমি পার্টি (আপ) পেয়েছিল একটি আসন। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলে অবশ্য চমক দেয় অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আপ। ১১৭টি আসনের মধ্যে ৯২টিতে জয়ী হয়ে সে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তারা। মাত্র ১৮টি আসন পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় কংগ্রেসকে। আলাদা ভাবে লড়ে অকালিরা তিন এবং বিজেপি দু’টি বিধানসভা আসনে জিতেছিল।