Lok Sabha Election 2024

গোষ্ঠীহিংসায় ঘরছাড়াদের জন্য ২৯টি বিশেষ বুথের ব্যবস্থা, মণিপুরে ভোট দিতে পারবেন কত জন?

প্রসঙ্গত, গত বছরের এপ্রিল মাসে মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। তা ঘিরেই সংঘাতের সূচনা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:০২
Share:

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

মণিপুরে গোষ্ঠীসংঘর্ষের জেরে ঘরছাড়া ৫,০০০ ভোটারের জন্য সেই রাজ্যে ২৯টি বিশেষ নির্বাচন কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে এ কথা জানিয়েছেন ইম্ফল পশ্চিমের জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক কিরণ কুমার।

Advertisement

গত বছরের ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূচনার পর থেকে এর অন্তত ১০ গুণ বেশি মানুষ প্রাণের ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়েছেন বলে অভিযোগ। মণিপুরের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি ঘরছাড়াদের বড় অংশ, বিশেষত কুকি-জ়ো জনগোষ্ঠীর নাগরিকেরা পড়শি রাজ্য মিজ়োরামের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে রয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মিজ়োরামে আশ্রয় নেওয়া মণিপুরের ভোটারদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিতে কোনও বিশেষ বন্দোবস্তের কথা কমিশন জানায়নি।

প্রসঙ্গত, মে মাসের গোড়ায় মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে। মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি-জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় দু’শো জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। পরে মণিপুর হাই কোর্ট সেই বিতর্কিত নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিলেও মণিপুর স্বাভাবিক হয়নি এখনও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement