বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে প্রচার কর্মসূচিতে মিঠুন চক্রবর্তী। — নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা ভোটের প্রচারে উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। দার্জিলিঙের বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ রাজু বিস্তার সমর্থনে বৃহস্পতিবার প্রচার করেন তিনি। তখনই নিজের প্রাক্তন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষের জবাব দিতে শোনা গেল তাঁকে। সেই সঙ্গে মমতাকেও পাল্টা দিলেন বিজেপির তারকা প্রচারক।
ইসলামপুরের জনসভা থেকে বৃহস্পতিবার মিঠুনকে একহাত নিয়েছেন মমতা। তাঁকে ‘গদ্দার’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। সেই অভিযোগ শুনে শিলিগুড়ির রোড-শো থেকে মিঠুন বলেন, ‘‘গদ্দার ভদ্দার সর্দার সব আমি। যা ইচ্ছা ওঁকে বলতে বলুন। কিছু যায় আসে না। এখানে যত ভিড় বাড়বে, তত ওঁর মাথা খারাপ হয়ে যাবে।’’
মিঠুন প্রসঙ্গে ঠিক কী বলেছিলেন মমতা? ইসলামপুরের সভা থেকে তিনি বলেন, ‘‘এই মিঠুনকে ভোটের সময় আমি রাজ্যসভার সাংসদ করেছিলাম। কিন্তু আমি জানতাম না, ও বাংলার আর এক জন গদ্দার। আরএসএস অফিসে গিয়ে মাথা নিচু করে এসেছিল। শুধু নিজের ছেলেকে বাঁচানোর জন্য।’’
উল্লেখ্য, ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন মিঠুন। তার পর চিটফান্ড দুর্নীতিতে তাঁর নাম জড়ায় এবং মিঠুন সাংসদ পদ ছেড়ে দেন। এর পর মিঠুনের ছেলের নামে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে নাগপুরের আরএসএস দফতরে গিয়েছিলেন মিঠুন। তার পর ভোটের মুখে ব্রিগেডের জনসভায় তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। এর পর থেকেই তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছিল, ছেলেকে বাঁচাতে বিজেপির শরণাপন্ন হয়েছেন মিঠুন। মমতাও বৃহস্পতিবার তা নিয়ে কটাক্ষ করেন মিঠুনকে।
বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকায় বিজেপির হয়ে প্রচার করেন মিঠুন। দলীয় কর্মীরা তাঁর রোড-শোতে ছিলেন। যদিও সেখানকার বিজেপি প্রার্থী রাজু বৃহস্পতিবার মিঠুনের সঙ্গে প্রচার কর্মসূচিতে ছিলেন না। সংবাদমাধ্যমে মিঠুন বলেন, ‘‘চারটি জায়গায় আমি ভোটের প্রচার সারলাম। ভাল সাড়া মিলছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আলাদা উন্মাদনা দেখতে পাচ্ছি। রাজু এখানে ভাল কাজ করেছে। তাই ও-ই জিতবে।