ছবি : সংগৃহীত।
শীতের নানা সমস্যার একটি হল হাতের ত্বকের রুক্ষতা। ঠান্ডায় গায়ে সোয়েটার, চাদর, মাফলার চাপানো হলেও হাতে চাপা দেওয়ার জো থাকে না। গ্লাভস বা দস্তানা পরার মতো ঠান্ডা সচরাচর পড়ে না বঙ্গে। তা ছাড়া গ্লাভস পরে কাজ করাও মুশকিল। ফলে শীতের রুক্ষতা যাবতীয় অত্যাচার চালিয়ে যায় হাতের ত্বকের উপরে। আর্দ্রতা হারিয়ে ৩০ বছরের যুবতীর হাতও দেখতে লাগে বয়স্কদের মতো। ময়েশ্চারাইজ়ার দিয়ে সাময়িক সমস্যামুক্তি হলেও শীতে হাতের রুক্ষতা কাটাতে হলে দরকার বাড়তি যত্ন আত্তি।
তেল
ঘুমনোর আগে ময়শ্চারাইজ়ার ছাড়া কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল ভাল করে হাতে মাসাজ করে নিতে পারেন। স্নান করার আগেও হাতে ভাল করে তেল মেখে নিতে পারেন। হাত অতিরিক্ত শুকিয়ে গেলে, হট অয়েল মাসাজ করলেও কাজ হবে।
দইয়ের প্যাক
দু’টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে সামান্য দুধ অথবা টক দই এবং এক ফোঁটা হলুদ গুঁড়ো দিয়ে মিহি মিশ্রণ তৈরি করুন। স্নানের আগে দু’হাতে ভাল করে সেই মিশ্রণ মেখে ১৫ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ জলে হাত ধুয়ে নিন। দেখবেন হাতের ত্বক কেমন উজ্জ্বল আর মসৃণ দেখাচ্ছে।
ছবি: সংগৃহীত।
লেবু-চিনি
রুক্ষতা কোনও ভাবেই না কাটলে এক্সফলিয়েশন করুন। অর্থাৎ মৃত কোষ মুক্ত করুন হাতের ত্বককে। দু’চামচ যেকোনও ভেজিটেবিল অয়েলের সঙ্গে, দু’চামচ পাতিলেবুর রস ও তিন চামচ চিনি মিশিয়ে ভাল করে হাতে মাসাজ করুন। মিনিট পাঁচেক ঘষার পর কিছু ক্ষণ রেখে হাত স্বাভাবিক জলে ধুয়ে ফেলুন।
ছবি: সংগৃহীত।
অবসরের প্যাক
আলাদা সময় ব্যয় না করেও হাতের যত্ন নিতে পারবেন। অবসর সময়ে যেমন টিভি দেখতে দেখতে বা রান্নাঘরে দাঁড়িয়েও হাতে অল্প গ্লিসারিনের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে মাসাজ করতে পারেন। হাত নরম হবে।