প্রচারে বেরিয়ে এক গ্রামবাসীকে স্নান করিয়ে দিলেন বিজেপি প্রার্থী। — নিজস্ব চিত্র।
প্রচারে বেরিয়ে এ বার এক ব্যক্তিকে স্নান করিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের কেরালা গ্রামে প্রচারে গিয়ে অশোক রায় নামের ওই ব্যক্তিকে স্নান করিয়ে দিতে দেখা যায় সুভাষকে। আর তাতেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তৃণমূলের কটাক্ষ, ‘‘মানবিকতার খাতিরে যদি সুভাষ এই কাজ করে থাকেন, তা হলে তা জাহির করার কী আছে?’’
নববর্ষের দিন বাঁকুড়ায় অম্বেডকর জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে হুডখোলা গাড়িতে জুতো পালিশ করতে দেখা যায় বিদায়ী কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষকে। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না-কাটতেই বৃহস্পতিবার প্রচারে বেরিয়ে এক ব্যক্তিকে স্নান করিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, এ দিন বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের ব্রাহ্মণডিহা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচারে যান সুভাষ। সেখানে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ হুডখোলা গাড়িতে চেপে পৌঁছন স্থানীয় কেরালা গ্রামে। সুভাষ সরকারের দাবি, গরমের মধ্যে এক জনকে স্নান করতে সাহায্য করেছেন মাত্র। বিতর্কের মুখে পড়ে তিনি বলেন, ‘‘প্রবল দাবদাহে পুড়ছে বাঁকুড়া। জেলা জুড়ে তাপপ্রপবাহ চলছে। এর মধ্যে কেরালা গ্রামে প্রচার চালানোর সময় হঠাৎই নজরে এল, এক ব্যক্তি গাছের তলায় বসে রয়েছেন। গরমে কষ্ট পাচ্ছেন। ওই ব্যক্তির সামনে ঠান্ডা এক বালতি জল নামানো রয়েছে। দেখে মনে হল, তাঁর স্নান করার ইচ্ছে আছে। তাই তাঁকে স্নানে সাহায্য করলাম।’’
প্রচারে বেরিয়ে সুভাষের স্নান করিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘সুভাষ সরকার মানবিকতার খাতিরে এ কাজ করে থাকতেই পারেন। কিন্তু তা নিয়ে এত জাহির করার কী আছে ? আসলে সবই নাটক। রাজনৈতিক জমি হারিয়ে এখন তিনি জুতো পালিশ করে আবার কখনও অন্যকে স্নান করিয়ে তা জাহির করছেন।’’ আর বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘নিজের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছেন সুভাষ সরকার। গত পাঁচ বছরে তিনি তো কিছুই করেননি। তাই এখন এ সব নাটক করতে হচ্ছে। এর পর ওঁকে ক্ষুর আর কাঁচি নিয়ে লোকের চুল, দাড়ি কেটে বেড়াতে হবে।’’