গ্রাফিক— সনৎ সিংহ
সন্দেশখালিতে জমি এবং ভেড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে। সোমবার সেই সন্দেশখালি থেকে কিছু দূরে বসিরহাটের সংগ্রামপুরে দাঁড়িয়ে মাছের ভেড়ি দখল নিয়ে কঠোর নীতি নেওয়ার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বললেন, ‘‘জোর করে ভেড়ি কেড়ে নেওয়া যাবে না। যার ভেড়ি সে চাষ করুক। আমরা তাই একটা পলিসি তৈরি করছি।’’
কী পলিসি বা নীতি প্রণয়ন করছেন মমতা? বসিরহাটের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘‘এখানে অনেক মাছের ভেড়ি আছে। অনেকে অনেকের ভেড়ি দখল করে নেয়। আবার ছোট ছোট ভেড়ি আছে গরিব মানুষের। তারা করে খায়। ভেড়ি নিয়ে স্বাধীনতার পর ১৯৪৭ সাল থেকে এত দিন পর্যন্ত কেউ কোনও পলিসি করেনি। আমরা তাই ভেড়ি নিয়ে নতুন নীতি তৈরি করছি। যার ভেড়ি সে চাষ করুক, তা না হলে স্বনির্ভর গোষ্ঠী বা গোষ্ঠীর ভিত্তিতে যারা চালাতে চায় চালাক। কিন্তু সরকারের নথিতে নাম রাখতে হবে। সরকারকে তার জন্য একটা শুল্কও দিতে হবে। তা হলে তার অধিকার এবং জমি দুই-ই নিরাপদ থাকবে। কারও ভেড়ি জোর করে কেড়ে নেওয়া যাবে না।’’
উল্লেখ্য, সন্দেশখালি যে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত, সেই বসিরহাট উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। আর অধুনা জেলবন্দি সন্দেশখালির নেতা শাহজাহান এই উত্তর ২৪ পরগনারই জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের তালিকায় মাছের ভেড়ির বেআইনি দখল নেওয়ার অভিযোগও ছিল। তদন্তকারী সংস্থা ইডি সূত্রে খবর, এই দখলের কাজে শাহজাহান ব্যবহার করতেন তাঁর ঘনিষ্ঠ শাগরেদ শিবপ্রসাদ হাজরা, দিদার বক্স মোল্লা, ভাই আলমগিরকে। ইতিমধ্যেই ওই দখলের অভিযোগে ইডি গ্রেফতার করেছে শাহজাহানের শাগরেদদের। এ বার মমতাও বসিরহাটে দাঁড়িয়ে দখলকারদের রুখতে কঠোর নীতি গ্রহণের বার্তা দিলেন।
তবে ভেড়ি প্রসঙ্গে শাহজাহানের নাম করেননি মমতা। বরং তিনি বলেন, ‘‘যদি আপনাদের মনে হয়, কারও উপরে রাগ আছে, আপনাদের বলার অধিকার আছে। আপনারা একটা চিঠি আমার বাড়িতে পৌঁছে দেবেন। আমি এক দিন হোক দু’দিন হোক, আমি ঠিক দেখে নেব।’’