বাঁ দিক থেকে নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার, নির্বাচন কমিশনার সুখবীর সিংহ সাধু। ছবি: পিটিআই।
৫৫ মিনিটের সাংবাদিক বৈঠক করে ভোটের দিন ঘোষণা করলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমার। তা করার সময় দেশের মোট লোকসভা আসনের সংখ্যা ৫৪৪ বলে জানান তিনি। বাস্তবে যা ৫৪৩। এ নিয়ে তৈরি হয় ‘বিভ্রান্তি’। পরে এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন কমিশনার নিজেই। তিনি জানিয়েছেন, মণিপুরের দু’টি লোকসভা আসনের মধ্যে একটিতে দু’দফায় ভোট হতে চলেছে। সে কারণে মোট লোকসভা আসনের সংখ্যা ৫৪৪ হয়েছে।
মণিপুরে দু’দফায় ১৯ এপ্রিল এবং ২৬ এপ্রিল ভোট হবে। ১৯ এপ্রিল ইনার মণিপুর এবং আউটার মণিপুরের কিছু অংশে ভোট হবে। ২৬ এপ্রিল আউটার মণিপুরের বাকি অংশে ভোট হবে। গত বছর ৩ মে থেকে হিংসায় জর্জরিত মণিপুর। বহু মানুষ ঘরছাড়া। আশ্রয় নিয়েছেন অস্থায়ী শিবিরে। সে কারণেই আউটার মণিপুর লোকসভা কেন্দ্রে দু’দফায় হতে চলেছে ভোটগ্রহণ।
ইনার মণিপুর লোকসভা আসন এখন বিজেপির দখলে। আউটার মণিপুর নাগা পিপল্স ফ্রন্টের দখলে। এই আসনটি তফসিলি জনজাতির জন্য সংরক্ষিত। মণিপুরের ঘরছাড়াদের জন্য এ বার বিশেষ ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘‘যে সব ভোটার শিবিরে রয়েছেন, তাঁরা সেখান থেকেই ভোট দিতে পারবেন। জম্মু ও কাশ্মীরের উদ্বাস্তুদের জন্য যে প্রকল্প রয়েছে, তার সুবিধা পাবেন মণিপুরের বাসিন্দারাও। নিজেদের শিবির থেকেই ভোট দিতে পারবেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভোটারদের কাছে আবেদন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যোগ দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে ব্যালটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিই। আমরা সব ব্যবস্থা করব।’’ প্রশাসন সূত্রে খবর, মণিপুরে ৫০ হাজার বাসিন্দা এখনও আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছেন।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
শনিবার ভোটের দিন ঘোষণার সময় কমিশনের একটি ভুল প্রকাশ্যে এসেছে। তারা যে গ্রাফিক উপস্থাপনা পেশ করে, তাতে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গের ভগবানগোলা এবং বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্রে হতে চলেছে উপনির্বাচন। দিন কয়েক আগেই তৃণমূলের তাপস রায় বরাহনগরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। গ্রাফিক উপস্থাপনায় দেখা যায়, ওই কেন্দ্রে হতে চলেছে উপনির্বাচন। নির্বাচন কমিশন যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে, তাতে দেখা যায় বরানগরের উল্লেখ নেই। পরে কমিশন ভুল সংশোধন করে জানায়, ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্রের পাশাপাশি বরাহনগরেও উপনির্বাচন হবে। এই সংশোধনের ফলে ২৬ নয়, দেশের মোট ২৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে।