TMC MLA Oath

নতুন ৬ বিধায়কের শপথের অনুমতি চেয়ে জোড়া চিঠি গেল রাজভবনে, ফের কী হবে বিতর্ক? উঠছে প্রশ্ন

২৩ নভেম্বর রাজ্যের ছয় উপনির্বাচনের ফলঘোষণা হয়েছে। তার পরেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে নতুন বিধায়কদের শপথগ্রহণ ঘিরে। গত কয়েক মাসে যে সব উপনির্বাচন হয়েছে তাতে জয়ী বিধায়কদের শপথগ্রহণকে ঘিরে রাজভবন, নবান্ন এবং বিধানসভার মধ্যে দড়ি টানাটানি চলেছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:০৬
Share:

বিধায়কদের শপথগ্রহণকে ঘিরে দড়ি টানাটানি চলছেই। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

নতুন ছয় বিধায়কের শপথগ্রহণের অনুমতি চেয়ে রাজভবনে চিঠি পাঠানো হল। মঙ্গলবার বিধানসভার পরিষদীয় দফতর ও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। ২৩ নভেম্বর রাজ্যের ছয় উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। তার পরেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে তাঁদের শপথগ্রহণ ঘিরে। কারণ গত কয়েক মাসে যে সব উপনির্বাচন হয়েছে তাতে জয়ী বিধায়কদের শপথগ্রহণকে ঘিরে রাজভবন, নবান্ন এবং বিধানসভার মধ্যে দড়ি টানাটানি চলেছিল। তাই বিধায়কদের শপথগ্রহণ ঘিরে দু’পক্ষের মধ্যে আবারও সেই দ্বন্দ্ব যুদ্ধ হবে না তা জোর দিয়ে বলতে পারছেন না কেউই। চিঠি পাঠালেও রাজভবন থেকে কোনও জবাব আসেনি বলেই জানা গিয়েছে বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে। রাজভবনের জবাবের উপরই নির্ভর করছে, নতুন বিধায়কদের শপথগ্রহণের বিষয়টি। তবে নির্বাচিত বিধায়কদের মধ্যে নৈহাটির সনৎ দে তৃণমূল পরিষদীয় দলের সঙ্গে কথা বলে গিয়েছেন।

Advertisement

বরাহনগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভগবানগোলায় রায়াত হোসেন সরকার উপনির্বাচনে জয়ী হলে সেবার প্রথম দ্বন্দ্ব শুরু হয় রাজভবন-বিধানসভার মধ্যে। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে বালিগঞ্জ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বাবুল সুপ্রিয় জয়ী হলে, চাপানউতর চলেছিল স্পিকার এবং রাজ্যপালের মধ্যে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্পিকার বিমানই বিধায়ক বাবুলকে শপথগ্রহণ করান। আর এ বছর জুনে রাজ্যপাল বোস বিধায়কদের রাজভবনে শপথগ্রহণ করাতে চাইলে, সায়ন্তিকা এবং রায়াতের আবদার ছিল রাজ্যপাল বিধানসভা এসে শপথবাক্য পাঠ করান। শেষ পর্যন্ত বিকল্পপথে দু’দিনের বিশেষ অধিবেশন ডেকে ওই দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ হয়েছিল। এর পর রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, মানিকতলা এবং বাগদার ভোটে জয়ী বিধায়কদের একই কায়দায় বিধানসভার অধিবেশনে শপথগ্রহণ করিয়েছিলেন স্পিকার। বাংলার রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, ঔপচারিকতা করতেই রাজ্যপালকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এমনই সব ঘটনাক্রমে বিধায়কদের শপথ কবে হবে তা জানা নেই বিধানসভা সচিবালয়ের। তবে ফের রাজ্যপালকে এড়িয়ে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার ছ’জন বিধায়কের শপথ গ্রহণ করাতে পারে অধিবেশনেই। এমন ইঙ্গিত পেয়ে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দল। মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ সেই বার্তা দলীয় বিধায়কদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন বলেই বিজেপি সূত্রে খবর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement