Lok Sabha Election 2024

লোকসভা ভোটের আগে জনসংযোগ করতে নতুন পরিকল্পনা রাজ্যপাল বোসের, জানাল রাজভবন

লোকসভা ভোটের আগে হিংসা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করছেন রাজ্যপাল। তিনি পঞ্চায়েত ভোটের কথা মনে করিয়ে দিয়ে লোকসভা ভোটের জন্য সতর্ক করছেন রাজ্যবাসীকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৪ ০৭:১৪
Share:

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।

লোকসভা ভোটের তারিখ ঘোষণার পরেই একটি নতুন উদ্যোগ নিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নির্বাচনের সময় সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ জন্য রাজ্যপাল ‘লোগ সভা’ পোর্টাল চালু করলেন। এই পোর্টালে যে কোনও নাগরিক নির্দিষ্ট একটি ইমেল আইডি মারফত রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। তাঁরা সেখানে তাঁদের অভিযোগ, অনুযোগের কথা সরাসরি জানাতে পারবেন।

Advertisement

রবিবার রাজভবনের তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, logsabha.rajbhavankolkata@gmail.com-এ জনসাধারণ তাঁদের অভিযোগের কথা জানাতে পারবেন। তাঁরা যে কোনও বিষয়ে পরামর্শও দিতে পারবেন। রাজভবনের তরফ থেকে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই পোর্টালের জন্য এক জন নোডাল অফিসারকেও নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজভবন।

লোকসভা ভোটের আগে হিংসা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করছেন রাজ্যপাল। তিনি পঞ্চায়েত ভোটের কথা মনে করিয়ে দিয়ে লোকসভা ভোটের জন্য সতর্ক করছেন রাজ্যবাসীকে। তাই হিংসা রুখতে গোটা রাজভবনকেই তিনি নামিয়ে আনতে চান বাংলার পথে। বাংলার ভোটে পাহারা দেবে ‘ভ্রাম্যমান রাজভবন’। পঞ্চায়েত ভোটের পুনরাবৃত্তি চান না রাজ্যপাল। এ বারের লোকসভা ভোট যাতে হিংসামুক্ত হয় এবং সকলে যাতে শান্তিভাবে ভোট দিতে পারেন, সেই দিকে লক্ষ্য রাখছেন তিনি।

Advertisement

লোকসভা ভোটের তারিখ ঘোষণার দিনে আচমকাই হাওড়ার একটি বেসরকারি স্কুলে হাজিরও হয়েছিলেন রাজ্যপাল। পুলিশ-প্রশাসনকে আগাম খবর না দিয়ে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে রাজ্যপাল চলে গিয়েছিলেন মধ্য হাওড়ার বনবিহারী বসু রোডের ইংরেজিমাধ্যম স্কুলে। স্থানীয় সূত্রে খবর, লঞ্চে চেপে প্রথমে রামকৃষ্ণপুর ঘাটে আসেন তিনি। সেখান থেকে টোটো চেপে পৌনে ১০টা নাগাদ স্কুলের গেটে পৌঁছে যান। স্কুলে ঢুকেই নোটিস বোর্ড দেখতে থাকেন প্রথমে। রাজ্যপাল জানান, তাঁর আসার উদ্দেশ্য একটাই— বাংলাকে নতুন ভাবে চেনা।

রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের সময় রাজভবনে ‘শান্তিকক্ষ’ (পিস রুম) খুলেছিলেন রাজ্যপাল। সে ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছিল রাজভবনের তরফে। সেখানে বলা হয়েছিল, ভোট সংক্রান্ত অশান্তি ঠেকাতে রাজভবনে অভিযোগ জানানো যাবে। সে সময় রাজ্যপালকে ফোন এবং ইমেলের মাধ্যমে বহু মানুষ যোগাযোগ করেছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement