Building Collapsed in Garden Reach

গার্ডেনরিচে মধ্যরাতের বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত দুই, ঘটনাস্থলে মেয়র, এখনও চলছে উদ্ধারকাজ

ধ্বংসস্তূপের নীচে অনেকের চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলাবাহিনী এবং দমকলবাহিনী। চলছে উদ্ধারকাজ। বেশ কয়েক জন আহতকে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৪ ০১:১৮
Share:

ঝুপড়ির উপর ভেঙে পড়েছে বহুতল। চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: সংগৃহীত।

গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়ল একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। কলকাতা পুরসভার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে গার্ডেনিরিচের ফতেহপুর ব্যানার্জি পাড়া লেনে রবিবার মধ্যরাতে এই বিপর্যয় ঘটে। নির্মীয়মাণ পাঁচ তলা বাড়িটির আশপাশে বেশ কিছু ঝুপড়ি রয়েছে। সেগুলির উপর ভেঙে পড়েছে বহুতলটি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন এলাকার বিধায়ক তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। রয়েছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। ফিরহাদ জানান, এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে এবং এক জনকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মৃতদের নাম সাম বেগম এবং হাসিনা খাতুন। মেয়র, দমকলমন্ত্রী ছাড়াও নগরপাল বিনীত গয়াল এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এখনও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং দমকল।

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, গার্ডেনরিচ থানার অন্তর্গত ওই এলাকায় বেশ কিছু দিন ধরে বহুতলটিতে নির্মাণ কাজ চলছিল। রবিবার রাত ১২টা নাগাদ বিকট শব্দ করে সেটি পাশের একটি টালির বাড়ির উপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর রাস্তা বেশ সংকীর্ণ হওয়ায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং দমকলের পৌঁছতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়। যা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। কংক্রিটের চাঁই ছড়িয়ে রয়েছে চারিদিকে। সেই ধ্বংসস্তূপ নীচে কেউ আটকে রয়েছেন কি না তার খোঁজ চলছে। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীদের মধ্যে। আশপাশের বাড়ি এবং বহুতল থেকে বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে আসেন। এই দুর্ঘটনায় ভেঙে পড়া বহুতলটি সংলগ্ন অপর একটি বহুতল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং দমকলের আশঙ্কা ধ্বংসস্তূপের নীচে অনেকের চাপা পড়ে থাকতে পারেন। ঝুপড়ি ঘরগুলিতে মোট কত জন ছিলেন তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি এখনও। গ্যাস কাটারের সাহায্যে কংক্রিটের চাঁই কেটে চলছে উদ্ধারকাজ। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয়রাও। রাতের অন্ধকারে উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হচ্ছে দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। এলাকা সংকীর্ণ হওয়ায় ভারি যন্ত্রপাতি দিয়ে কাজ করা কঠিন হচ্ছে। রাত তিনটে নাগাদ উদ্ধারকাজে নামে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এর পরেই উদ্ধারকাজে গতি আসে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement