কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। — ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘ভুয়ো’ ভিডিয়ো মামলায় দিল্লি পুলিশের প্রথম গ্রেফতারি। অরুণ রেড্ডি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃত ব্যক্তি সমাজমাধ্যমে কংগ্রেসের সমর্থনে একটি পেজ চালান। তাঁর পেজের নাম ‘স্পিরিট অফ কংগ্রেস’। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
একটি নির্বাচনী জনসভা থেকে শাহের বক্তৃতার একটি অংশকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত। সমাজমাধ্যমে শাহের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। সেই ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘তফসিলি জাতি (এসসি), তফসিলি জনজাতি (এসটি) এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি)-র জন্য যে সংরক্ষণ চালু আছে, তা আর আগামী দিনে থাকবে না!’’ আনন্দবাজার অনলাইন অবশ্য সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। বিরোধীরা এই ভিডিয়োকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে শুরু করে। বিজেপি পাল্টা এই ভিডিয়োর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
বিজেপি অভিযোগ করেছিল, কেউ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভিডিয়ো ‘ডিপ ফেক’ প্রযুক্তিতে বিকৃত করে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে। তিনি কখনওই এমন কথা বলেননি। ভিডিয়োটি ভুয়ো। পদ্মশিবিরের আরও দাবি, শাহ তেলঙ্গানার মুসলিমদের জন্য যে ‘অসাংবিধানিক’ সংরক্ষণ রয়েছে, তা নিয়ে কথা বলেছিলেন। কিন্তু আসল কথা সরিয়ে দিয়ে তা বিকৃত করা হয়েছে।
‘ভুয়ো’ ভিডিয়ো নিয়ে মুখ খুলেছিলেন শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘কংগ্রেস ভুয়ো খবর রটাচ্ছে যে, বিজেপি ৪০০-র বেশি আসন পেলে সংরক্ষণ তুলে দেবে। আমি পরিষ্কার বলে দিতে চাই যে, বিজেপি এসসি, এসটি, ওবিসিদের সংরক্ষণ দেওয়াকে সমর্থন করে এবং সর্বদা তাঁদের রক্ষক হিসাবে থাকবে আমাদের দল।” বিজেপির পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বার দিল্লি পুলিশ প্রথম গ্রেফতার করল।