অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।
ভাড়াটে খুনি লাগিয়ে শ্বশুর-শাশুড়িকে খুন করানোর অভিযোগ উঠল পুত্রবধূর বিরুদ্ধে! অভিযোগ, অপরাধে সঙ্গ দিয়েছে নাবালক নাতিও। গুজরাতের হিম্মতনগরের ঘটনা। নিহতদের নাম বিক্রম সিংহ (৬৫) এবং মানহার কুনওয়ারবা (৬২)। বিক্রম গুজরাটের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল।
পুলিশ সূত্রে খবর, ছেলে বনরাজ সিংহ, পুত্রবধূ মিত্তল কুমারী এবং নাতির সঙ্গে হিম্মতনগরের একটি আবাসনে থাকতেন বৃদ্ধি দম্পতি। গত ৩০ এপ্রিল বনরাজ কর্মসূত্রে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের বাড়িতে ঢুকে পড়েন দু’জন আততায়ী। অভিযোগ, ওই দুই আততায়ী প্রথমে একটি আলমারি থেকে নগদ ৩৫ লক্ষ টাকা এবং প্রায় সাড়ে ৪২ লক্ষ টাকার গয়না লুট করেন। পরে বৃদ্ধ দম্পতির গলায় ছুরির কোপ চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এর পর বনরাজের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, জোড়া খুনের নেপথ্যে হাত রয়েছে নিহত দম্পতির বৌমা মিত্তলের। পুলিশের অনুমান, শাশুড়ির ব্যবহারে খুশি ছিলেন না মিত্তল। আর সেই কারণেই ভাড়াটে খুনি লাগিয়ে শ্বশুর-শাশুড়িকে খুনের সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন। মায়ের সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছিল মিত্তলের পুত্রও। এর জন্য দুই ভাড়াটে খুনির সঙ্গে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চুক্তিও করেছিলেন।
তদন্তকারী এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত পূত্রবধূকে গ্রেফতার করেছে। চুরি যাওয়া টাকা এবং গয়নাও উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘গত ৩০ এপ্রিল হিম্মতনগরে একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার এবং তাঁর স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। দম্পতি খুনে মূল অভিযুক্ত পুত্রবধূ। খুন করানোর জন্য ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চুক্তি হয়েছিল দুই ভাড়াটে খুনির। আমরা ৩০ লক্ষের বেশি নগদ এবং বহু লক্ষ টাকার গয়না উদ্ধার করেছি।’’