ইউজিসি। সংগৃহীত ছবি।
প্রথাগত শিক্ষার বাইরে কারিগরি বিষয়ে দক্ষ বা পেশাদারি ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের জন্য নতুন খসড়া প্রস্তুত করল ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। বিভিন্ন বিষয়ে ডিগ্রি লাভের বাইরে হাতেকলমের কাজে পারদর্শিতাকে স্বীকৃতি দিতেই কমিশনের এই নির্দেশিকা।
ইউজিসি প্রকাশিত এই নয়া খসড়া নির্দেশিকার নাম— ‘রেকগনিশন অফ প্রায়ার লার্নিং (আরপিএল)’। ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে এই খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে যাঁরা বিভিন্ন পুঁথিগত বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে জ্ঞান লাভ, দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তাঁরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবেন। ফলে, এর পরে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে উচ্চতর শিক্ষায় ডিগ্রিলাভের মাধ্যমে তাঁদের কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে। মূলত, প্রথাগত শিক্ষা এবং বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের মধ্যে যে বিপুল ফারাক, তা কমিয়ে আনতেই ইউজিসির এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন সচিব মামিডালা জগদেশ কুমার।
খসড়া অনুযায়ী, আরপিএল-এর মাধ্যমে পড়ুয়ারা যে কোনও ডিগ্রি প্রোগ্রামে সর্বাধিক ৩০ শতাংশ ‘ক্রেডিট’ অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬ সাল থেকেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাকরি ক্ষেত্রে এই নীতি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের।
কী ভাবে এই বিষয়টি কার্যকরী হবে? উদাহরণ স্বরূপ, জগদেশ কুমার জানিয়েছেন, কোনও পড়ুয়ার বিকম ডিগ্রির পর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে, তাঁর পেশাদারি দক্ষতা খতিয়ে দেখে এক বছরের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্সে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে তাঁদের বিভিন্ন কাজের স্যাম্পল, প্রজেক্ট ওয়ার্ক, কোর্সওয়ার্ক, সার্টিফিকেট, বিভিন্ন পরীক্ষার ফল, ইন্টার্নশিপ, দক্ষতা যাচাই করে দেখা হবে।
কুমারের মতে, এই নীতি বাস্তবায়িত হলে প্রথাগত শিক্ষা এবং পেশাদারি অভিজ্ঞতার মধ্যেকার ফাঁক পূরণ করা সম্ভব হবে এবং কাজের সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে। দেশের বহুসংখ্যক কর্মী প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ এবং কেরিয়ারে উন্নতি করার অনেক বেশি সুযোগও পাবেন।