প্রতীকী চিত্র।
কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রবেশিকা পরীক্ষা বা কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্ট (কুয়েট)-এর ক্ষেত্রে বড় বদল আনল ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন)। ২০২৫ সালের জন্য স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরে ভর্তির পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন আনা হবে। মঙ্গলবার সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে এমনটাই জানিয়েছেন ইউজিসি সচিব মামিডালা জগদেশ কুমার।
সংবাদসংস্থাকে কুমার জানিয়েছেন, ২০২৫ সাল থেকে হাইব্রিড মাধ্যমে কুয়েট ইউজি (আন্ডারগ্র্যাজুয়েশন)-র আয়োজন করা হবে না। শুধুমাত্র কম্পিউটার নির্ভর বা সিবিটি মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হবে। পাশাপাশি, বিষয় সংখ্যাও কমানো হবে। পড়ুয়ারা ৬৩টি বিষয়ের পরিবর্তে ৩৭টি বিষয়ের জন্য কুয়েট ইউজি দিতে পারবেন। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাকি বিষয়গুলিতে পড়ুয়াদের ভর্তির ক্ষেত্রে যোগ্যতা যাচাই করা হবে জেনারেল অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট (গ্যাট)-এর মাধ্যমে।
কুমার আরও জানান, এখন থেকে দ্বাদশ স্তরে যে সমস্ত বিষয় পড়ুয়াদের পাঠ্যক্রমে ছিল না, সেগুলি নিয়েও স্নাতক স্তরে পড়ার জন্য কুয়েট ইউজি দিতে পারবেন। এর ফলে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কোনও নির্ধারিত বিষয়ভিত্তিক সীমা থাকবে না এবং পড়ুয়ারা আরও বেশি করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ পঠনপাঠনের সুযোগ পাবেন।
এ ছাড়াও ইউজিসি সচিব, আরও দু’টি পরিবর্তনের কথা সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন। সেই অনুযায়ী, পরের বছর থেকে ছ’টি বিষয়ের বদলে সর্বাধিক পাঁচটি বিষয়ের জন্য কুয়েট ইউজি দিতে পারবেন। পাশাপাশি, আগের মতো বিষয়ের উপর নির্ভর করে পরীক্ষার জন্য সময় বরাদ্দ করা হবে না। সব বিষয়ের পরীক্ষাই হবে ৬০ মিনিট বা এক ঘণ্টার। এ ছাড়া, পরীক্ষায় কোনও বিকল্প বা ‘অপশনাল’ প্রশ্নও থাকবে না। সমস্ত প্রশ্নই হবে ‘কম্পালসরি’।
প্রসঙ্গত, দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তির জন্য ২০২২ সাল থেকে কুয়েট-এর আয়োজন করে ইউজিসি। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনার জন্য কমিশনের এই পদক্ষেপ। ২০২৩ সালে স্থির করা হয়, যে বিষয়ের পরীক্ষার জন্য নথিভুক্ত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হবে, সেই পরীক্ষাগুলি ‘ওএমআর’ শিটের মাধ্যমে নেওয়া হবে। সিবিটি মাধ্যমে নয়। তবে এর ফলে পরীক্ষা আয়োজনের সময় দীর্ঘায়িত হওয়ায় ২০২৪ সালে হাইব্রিড অর্থাৎ ‘ওএমআর’ শিট এবং সিবিটি— উভয় মাধ্যমেই পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে নানা সমস্যার সম্মুখীন হওয়ায় পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরীক্ষাব্যবস্থায় আবারও রদবদল আনল ইউজিসি।