সংগৃহীত চিত্র।
রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনার জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষায় (সেট) জালিয়াতি রুখতে প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর জোর ওয়েস্ট বেঙ্গল কলেজ সার্ভিস কমিশনের। প্রশ্নপত্রে জিপিএস ট্র্যাকিং থেকে শুরু করে প্রশ্নপত্রের ট্রাঙ্কে থাকছে মেকানিক্যাল কম্বিনেশন কোড যুক্ত বিশেষ তালা।
কমিশনের আধিকারিক বলেন, “এ বছর প্রথম একাধিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে পরীক্ষা ব্যবস্থায় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে। ভুয়ো অ্যাডমিট কার্ড থেকে সমাজ মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁস- সব দিকেই বিশেষ নজর রাখা হয়েছে এই প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে। আমরা চাই পরীক্ষা যেন সুষ্ঠু এবং নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়।”
এ বছর প্রথম প্রশ্নপত্রের বুকলেট খোলা হবে পরীক্ষা হলের ভিতরে, পরীক্ষার্থীদের সামনে। আগে যা ভেনু সুপারভাইজারের কাছে খোলা হত। প্রশ্নপত্রের বুকলেটে থাকছে বিশেষ কিউআর কোড। যদি কোনও পরীক্ষার হলে মোবাইলের মাধ্যমে ছবি তুলে সমাজ মাধ্যমে দেওয়ার চেষ্টা হয়, তা হলে তা সঙ্গে সঙ্গে ধরা পড়ে যাবে।
পরীক্ষার প্রশ্নপত্র একটি জায়গা থেকে সারা রাজ্যের ৮৭টি পুলিশ স্টেশনে পরীক্ষার আগে পৌঁছে দেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে আবার সেই প্রশ্নপত্র একই ভাবে মূল সেন্টারে ফিরে আসবে। আসা এবং যাওয়ার পথে যাতে প্রশ্নপত্রের কোনও চুরি বা গণ্ডগোল না হয়, তার জন্য প্রত্যেকটি ট্রাঙ্কের গায়ে লাগানো হয়েছে জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম, যা নিয়ন্ত্রণ করা হবে কেন্দ্রীয় ভাবে। প্রশ্নপত্রের ট্রাঙ্কে থাকছে মেকানিক্যাল কম্বিনেশন কোড যুক্ত বিশেষ তালা। এই তালায় গোপন কোড-এর মাধ্যমে লক করা হবে। এই নম্বর বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে পরীক্ষার দিন প্রত্যেকটি সেন্টারকে জানানো হবে। এমনকি সেই নম্বর কী, তা কমিশনের চেয়ারম্যান পর্যন্ত জানবেন না। ভুয়ো অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে যাতে কোনও পরীক্ষার্থী পরীক্ষা হলে প্রবেশ না করতে পারেন, তার জন্য এই সিদ্ধান্ত। প্রত্যেকটি অ্যাডমিট কার্ডে থাকছে কিউআর কোড। যাতে প্রার্থীর ছবি-সহ সবিস্তার তথ্য থাকবে। ভুয়ো প্রার্থীকে দ্রুত চিহ্নিত করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এই কিউআর কোড-এর মধ্যে প্রার্থীর ছবি, নাম, অভিভাবকদের নাম, জন্মতারিখ, রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বার, পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম, কোন বিষয় পরীক্ষা দিচ্ছেন, তার সবিস্তার তথ্য-সহ প্রার্থীর স্বাক্ষর থাকবে।
রবিবার ১৫ই ডিসেম্বর সেট পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত দু’টি ভাগে এই পরীক্ষা হবে। প্রথম অর্ধে প্রথম পেপারে পরীক্ষা হবে সকাল সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত। দ্বিতীয় অর্ধের পরীক্ষা হবে দুপুর ১২টা থেকে দুটো পর্যন্ত।
এ বছরের মোট নথিভুক্ত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৮ হাজার ৮৬৭ জন। ৩৩টি বেশি বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে ৯০টি পরীক্ষা কেন্দ্রে।