সংগৃহীত চিত্র।
উচ্চ প্রাথমিকে ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের অনুপস্থিতি এবং প্রত্যাখ্যানের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রথম দিনের থেকে দ্বিতীয় দিনের কাউন্সেলিংয়ে চার শতাংশ বৃদ্ধি পেল এই সংখ্যা। ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে কাউন্সেলিং, চলবে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রথম দিনেই অনুপস্থিতি ও প্রত্যাখ্যান মিলিয়ে শিক্ষকতার চাকরি গ্রহণ করেননি ২৭.৮০ শতাংশ চাকরিপ্রার্থী। দ্বিতীয় দিনে সেই সংখ্যা দাঁড়াল শতাংশের নিরিখে ৩১.৮৫-এ।
বুধবার ইংরেজির জন্য ২৩৭ জন প্রার্থীকে ডাক পেয়েছিলেন কাউন্সেলিংয়ে। তার মধ্যে অনুপস্থিতি ও প্রত্যাখ্যানের মোট সংখ্যা ছিল ৭৫ জন। বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে ডাকা হয়েছিল ৩৮৬ জনকে। সেখানে অনুপস্থিতি ও প্রত্যাখ্যান মিলিয়ে সংখ্যা ১১২। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৫৮৭ জনের মধ্যে প্রত্যাখ্যান ও অনুপস্থিতির সংখ্যা ১৮৭।
উল্লেখ্য, প্রায় ৫২১৭ জন অপেক্ষারত চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন বলে এসএসসি সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে কমিশনের তরফে কাউন্সেলিংয়ের যে সূচি প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে প্রায় ২৬০০-র কাছাকাছি চাকরিপ্রার্থীর নাম রয়েছে।
প্যানেলভুক্ত ৮,৭৪৯ জন চাকরিপ্রার্থীর কাউন্সেলিং ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এঁদের মধ্যে অনুপস্থিত এবং প্রত্যাখ্যানকারীর সংখ্যা ২,০৬৯। দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম পর্যায়ের কাউন্সেলিংয়ে ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে থেকে ২,০৬৯টি শূন্য আসনের জন্য ডাকা হল ২,৫৯৫ জন চাকরিপ্রার্থীকে। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে অপেক্ষারত বাকি প্রার্থীদের কবে ডাকা হবে?
কমিশন সূত্রে খবর, এসএসসি-র নিয়ম অনুযায়ী প্যানেলভুক্ত যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী ইতিমধ্যে সুপারিশপত্র গ্রহণ করেছেন, কিন্তু এখনও পর্যন্ত চাকরিতে যোগ দেননি, তাঁদের সম্পূর্ণ তালিকা না-আসা পর্যন্ত ওয়েটিং লিস্টের আপডেটেড ভ্যাকেন্সি তৈরি করা সম্ভব নয়। নিয়ম অনুযায়ী, সুপরিশপত্র পাওয়ার পর ৪২ দিনের মধ্যে চাকরিতে যোগ দিতে হবে। যদি তা না হয়, তা হলে ধরে নেওয়া হবে, ওই পদটি শূন্য। তাই বছর শেষে হাতে থাকা তথ্যের উপর ভিত্তি করে দ্বিতীয় কাউন্সেলিং শুরু করতে চলেছে এসএসসি।