প্রতীকী চিত্র।
রাজ্য সরকারের উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে পারস্পরিক বদলি চালু হওয়ার পরও বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। এই নিয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে বিকাশ ভবনে। কিন্তু তার পরও কোনও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ শিক্ষক সংগঠনগুলির।
উল্লেখ্য, প্রায় আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে নতুন বছরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে রাজ্য সরকারের উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে চালু হল পারস্পরিক বদলি। চালু হলেও আবেদন করতে গিয়ে লাভ হল না শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের। বিষয়ভিত্তিক বদলির ক্ষেত্রে স্কুলের পুরনো লিস্ট রয়েছে ওয়েবসাইটে। তার সঙ্গে ন্যূনতম পাঁচ বছর কাজ না করলে বদলির আবেদনে বিধিনিষেধ থাকায়, ইচ্ছুক শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা আবেদন করতে পারছেন না। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিভিন্ন সংগঠন।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন,‘‘অনেক অনুরোধ, তদ্বিরের পর অবশেষে উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে মিউচুয়াল ট্রান্সফার চালু করার জন্য পোর্টাল খুলে দিয়েছে প্রায় আড়াই বছর পরে। কিন্তু এতে শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের কোনও লাভই প্রায় হচ্ছে না। নিয়মের তোয়াক্কা না করে পাঁচ বছরের ‘লকিং পিরিয়ড’ করার সিদ্ধান্ত একদম ভুল। শিক্ষা দফতরকে অনুরোধ করছি এটা দু’বছর করার জন্য। তা ছাড়া বিভিন্ন কারণে যাদের প্রোফাইল লক হয়ে আছে সেগুলও খুলে দেওয়া উচিত।’’
আবেদনকারী শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীদের অভিযোগ, নতুন করে যে পোর্টাল খোলা হয়েছে সেখানে আবেদন করতে গেলে পূর্বে ট্রান্সফার হয়ে যাওয়া শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীদের নাম দেখাচ্ছে। অর্থাৎ একই ব্যক্তির নাম বহুবার দেখাচ্ছে পোর্টালে। এ ছাড়াও, বিগত দিনে পোর্টাল চালুর কিছু দিন বাদেই ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের নূন্যতম একটি স্কুলে কাজের অভিজ্ঞতা ধার্য করা হয়েছিল পাঁচ বছর। যার ফলে আবেদন করতে গিয়ে এই আইনের গেরোয়ে অনেক সময় উল্টোদিকের শিক্ষক পাচ্ছেন না আবেদনকারীরা। অবিলম্বে পাঁচ বছরের সীমা তুলে নেওয়ার দাবি সংগঠনগুলির।
শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘মিউচুয়াল ট্রান্সফারের পোর্টাল চালু হয়েছে, কিন্তু বহু ধরনের অসঙ্গতি থাকায় বদলির প্রক্রিয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। এগুলি দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়ে আমরা শিক্ষা দফতরে আবেদন জানিয়েছি।’’
একই স্কেল থাকা সত্ত্বেও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকেরা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বদলির আবেদন করতে পারছেন না। আবার, একই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকেরাও। বেশ কিছু শিক্ষকের দাবি, দু’জনের মধ্যে মিউচুয়াল ট্রান্সফার না করে একের অধিক করা হোক। যেখানে পাঁচ বছরের বিধি নিষেধ তুলে নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। এ ছাড়াও, তাঁরা মনে করেন তিন/ চার জনের মধ্যে মিউচুয়াল ট্রান্সফার চালু করলে অনেকেই সুযোগ পাবেন এতে জেনারেল ট্রান্সফারের চাপও কমবে।
প্রায় আড়াই বছর বন্ধ থাকার পরে অবশেষে আবার চালু হয়েছে রাজ্য সরকারের উৎসশ্রী পোর্টাল। শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের বদলি সংক্রান্ত এই পোর্টাল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে বন্ধ রাখা হয়েছিল। ২০২৫-র ৯ জানুয়ারি থেকে ওই পোর্টাল চালু করা হয়েছে।