প্রতীকী ছবি।
জাল মার্কশিট ও শংসাপত্রের বাড়বৃদ্ধি রুখতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল শিক্ষা সংসদ। মার্কশিটে এ বার থাকছে ইউভি সিকিউরিটি থ্রেট কোড। এত দিন পর্যন্ত এই পদ্ধতি ব্যবহার হত একমাত্র ভারতীয় মুদ্রায়। জাল নোট ধরতে তা ব্যবহৃত হয়। এ বার একই কোড থাকবে উচ্চ মাধ্যমিকের মার্কশিটে। যদিও গত বছর থেকেই মার্কশিটে কিউআর কোড থাকছে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পরীক্ষায় জালিয়াতি রুখতে আমরা সদা সতর্ক থাকি। গত বছর থেকেই কিউআর কোডের ব্যবহার শুরু হয়েছে। পুরো ব্যবস্থাটি আরও নিরাপদ করতে এই নয়া পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। পড়ুয়াদের স্বার্থেই এই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।’’
উল্লেখ্য, গত বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর জাল শংসাপত্র বানিয়ে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তি হয় এক পড়ুয়া। মার্কশিটে শুধু মূল নম্বরই নয়, সমগ্র বিষয়ভিত্তিক নম্বরের পরিবর্তন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে তা ধরা পড়ে। এর পরই নড়েচড়ে বসে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ফলস্বরূপ এই পদক্ষেপ।
কী এই ইউভি সিকিউরিটি থ্রেট কোড?
উচ্চ মাধ্যমিকের মার্কশিটে থাকবে এই কোড। এর মাধ্যমে সহজেই বোঝা যাবে সংশ্লিষ্ট মার্কশিটটি জাল কি না। মার্কশিটের ভিতরে লেখা থাকবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের আদ্যক্ষর। যদিও তা খালি চোখে দেখা যাবে না। ইউভি স্ক্যান করলে তবেই ধরা পড়বে।
শুধু উচ্চ মাধ্যমিক নয়, মাধ্যমিকেও জালিয়াতি রুখতে একাধিক নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব সুব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘জাল মার্কশিট নিয়ে ভর্তির চেষ্টা হচ্ছে, এমনটা সন্দেহ হলে সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে যোগাযোগ করতে বলব। আমরা বিশেষজ্ঞ দ্বারা বলে দিতে পারব ওই মার্কশিট জাল কি না।’’
উল্লেখ্য, গত বছর নিরাপত্তার জন্য উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রে সিরিয়াল নম্বরের উল্লেখ ছিল। এই সিরিয়াল নম্বর ব্যবহার করা হয় ‘ইউনিক কিউআর কোড’-এর মাধ্যমে। ১৪টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নপত্রের উপর নজরদারি ও নিরাপত্তার জন্য গত বছর প্রথম আধুনিক এনক্রিপ্টেড ‘কিউআর কোড’ বা ‘বার কোড’-এর ব্যবস্থা চালু করেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এই বিশেষ পদ্ধতিতে সংসদ প্রশ্নপত্রের যাবতীয় তথ্য নিজেদের নজরদারির মধ্যে রাখতে পারে। পরীক্ষা চলাকালীন বা তার আগে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তা সংসদ সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পেরে যায়। প্রত্যেকটি প্রশ্নপত্রের উপরে ডান দিকের একটি সিরিয়াল নম্বর বা ‘ইউনিক কিউআর কোড’ থাকে। এ বারও সেই ব্যবস্থা থাকছে।
অন্য দিকে, মার্কশিটে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করলে পরীক্ষার্থীর নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখা যেত। এ বছর থেকে তার ছবি, ঠিকানা-সহ বিস্তারিত তথ্য দেওয়া থাকবে।