সংগৃহীত চিত্র।
উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের দ্বিতীয় দফার কাউন্সেলিংয়ের দিন ঘোষণা করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। দ্বিতীয় দফায় ডাকা হবে ৮,০৯১ জনকে। আগামী ১১ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত, মাঝে শনি-রবি বাদ দিয়ে প্রত্যেক দিন কাউন্সেলিং চলবে। ১২ ও ১৩ নভেম্বর ওই দু’দিন বন্ধ থাকছে এই প্রক্রিয়া।
দীর্ঘ ৮ বছরের অপেক্ষা শেষে ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং। দুর্গাপুজোর আগে দু’টি পর্যায়ে এই প্রক্রিয়া চালিয়েছে এসএসসি। সেখানে নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছে ১৮৬ জন। প্রথম দু’দফায় ডাকা হয়েছিল ২৫৪ জনকে। প্রথম দফা মিলিয়ে নিয়োগপত্র নেয়নি ৬৮ জন।
প্রথম পর্যায়ে ছয় দফা কাউন্সেলিংয়ে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে মোট ৬৫৮ জনের। পুজোর পরে ২৪, ২৫, ২৮, ২৯ অক্টোবর বাদবাকি প্রার্থীদের কাউন্সেলিং হবে বলে আগেই জানিয়েছে এসএসসি। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে যে প্রক্রিয়া শুরু হবে, সেখানে ডাকা হয়েছে ৮০৯১ জনকে। অর্থাৎ দু’বারে এ পর্যন্ত মোট ৮,৭৪৯ জনকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডাকা হয়েছে।
গত ২৮ অগস্ট হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে ২৫ সেপ্টেম্বর ফের মেধা তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ১৪,০৫২ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবে জাতিগত ও শিক্ষাগত তথ্যে গরমিলের কারণে ৯৬ জন প্রার্থীর নাম বাদ দেয় এসএসসি। সম্পূর্ণ নিয়োগ কবে হবে, সেটাই প্রশ্ন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের। পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, “আমরা চাই অবিলম্বে অবশিষ্ট ৫ হাজারের বেশি প্রার্থীর ধারাবাহিক ভাবে কাউন্সেলিং করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের চাকরি সুনিশ্চিত করা হোক। সেই দাবিতে ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে অবস্থান মঞ্চে ধর্নার ৬৭৫তম দিন অতিক্রান্ত।”
কমিশন সূত্রের খবর, নিয়োগের জন্য সংশোধিত শূন্যপদের তালিকা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের শেষের দিকে প্রকাশ করা হবে। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল দ্বিতীয় পর্যায়ের কাউন্সেলিংয়ে ৭০০ থেকে ৮০০ জন প্রার্থীকে দৈনিক ডাকা হচ্ছে স্কুল বাছাই করে অনুমোদনপত্র নেওয়ার জন্য।
যদিও একটা প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। ২৪ ও ২৫ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় দানা-র প্রভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে কলকাতা সহ বাংলায়। এ দিকে, এই দুই দিনই কাউন্সেলিং হওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে কী হবে? এ প্রসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, “এ বিষয়ে আমরা খোঁজখবর রাখছি।”