ছবি: সংগৃহীত।
স্কুলস্তর থেকেই চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে পড়ুয়ারা। এমন আগ্রহীদের কেন্দ্রের তরফেও বিভিন্ন ধরনের সহায়ক কোর্স করার সুযোগ দেওয়া হয়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি (এনআইইএলআইটি) কলকাতার তরফে তেমনই কিছু দক্ষতা বৃদ্ধির কোর্স করানো হবে।
প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়েছে, দ্বাদশ উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই প্রতি বছর কিছু বাছাই করা বিষয়ে কোর্স করানো হয়ে থাকে। কম খরচে যাতে অংশগ্রহণকারীরা মেশিন লার্নিং, ব্লকচেন ডেভেলপমেন্টের মতো বিষয়ে নিজেদের দক্ষ করে তুলতে পারে, সেটাই চেষ্টা করেন প্রতিষ্ঠানের ফ্যাকাল্টি মেম্বাররা।
প্রসঙ্গত, এই কোর্সগুলি হবে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর একাধিক বিষয়ে, যার জ্ঞান কেরিয়ার শুরুর ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। রইল তেমনই কিছু কোর্সের নামের তালিকা।
প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র সায়েন্টিস্ট কল্যাণ বৈতাল জানিয়েছেন, বর্তমানে ইনফরমেশন, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজির ক্ষেত্রে পড়াশোনা এবং চাকরির সুযোগ থাকলেও সঠিক প্রশিক্ষণের অভাবে পিছিয়ে রয়েছে বহু সম্ভাবনাময় পড়ুয়া। তাঁদের কর্মক্ষেত্রের মূল চাহিদা সম্পর্কে সচেতন এবং শিক্ষিত করে তুলতেই বিভিন্ন বিষয়ে কোর্স চালু করা হয়েছে।
যাদবপুরে প্রতিষ্ঠানের মূল ক্যাম্পাসেই কোর্সের ক্লাস করানো হবে। তাই সেখানে গিয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে নিজেদের পছন্দের কোর্সের জন্য আবেদন জমা দিতে পারবেন পড়ুয়ারা। বিষয়ের নিরিখে ৪০ ঘণ্টা থেকে শুরু ১ বছর ৬ মাস সময়সীমার মধ্যে ক্লাস এবং প্রশিক্ষণ শেষ হবে। খরচ ৫ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা। তবে তফসিলি জাতি এবং উপজাতিভুক্ত প্রার্থীদের কাছ থেকে কোর্স ফি নেওয়া হবে না। কোর্সের ক্লাস সম্পূর্ণ হওয়ার পরে অংশগ্রহণকারীরা শংসাপত্র হাতে পাবেন। ক্লাস করানো হবে ব্লেন্ডেড মোডে, অর্থাৎ কিছুটা হবে অফলাইন, কিছু ক্লাস চলবে অনলাইন মাধ্যমে।
এই ধরনের কোর্স করার সুযোগ কি শহর বা শহরতলির পড়ুয়ারাই শুধু পাবেন? উত্তরে প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র সায়েন্টিস্ট বলেন, “শহর, শহরতলি তো বটেই, গ্রামের পড়ুয়াদের জন্যও বিশেষ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রোগ্রাম শুরু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পড়ুয়াদের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রকল্প, কনসাল্ট্যান্সি সার্ভিসেস, অফিস অটোমেশন, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টের মতো তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ক্ষেত্রগুলিতে কাজের বিষয়ে দক্ষ করে তোলা হবে।”