জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা। প্রতীকী ছবি।
জয়েন্ট এন্ট্রান্স (জেইই) এর মেন পর্বের পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। সামনে রয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স আর জয়েন্ট এন্ট্রান্স অ্যাডভান্সড-এর পরীক্ষা। আবার সদ্য শেষ হয়েছে বোর্ডের পরীক্ষা। এই সময়টায় স্বভাবতই ছাত্রছাত্রীরা খুব চিন্তায় থাকে। তাই পরীক্ষার প্রস্তুতির আগেও প্রয়োজন সঠিক খাবার, পরিমিত ঘুম আর পর্যাপ্ত জল। আর শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির জন্য সঠিক পরিকল্পনা।
প্রথমেই নিজের সুবিধা মতো, নিজের অভ্যাস অনুযায়ী একটা সময়সূচি তৈরি করে নিতে হবে। সেখানে পড়ার সময়ের পাশাপাশি দু’বেলা অন্তত দু'টি মক টেস্ট দেওয়ার সময় বরাদ্দ থাকা খুব জরুরি। এই সময়টায় নতুন কিছু শিখতে না যাওয়াই ভাল। বরং পুরনো বিষয়গুলি ঝালিয়ে নিয়ে পূর্ববর্তী ১০ বছরের প্রশ্নের সমাধান করে নিতে হবে। এতে লেখার অভ্যাসের সঙ্গে পরীক্ষার্থীরা নিজেদের প্রস্তুতির অবস্থা সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। পাশাপাশি কোন অধ্যায়গুলি বেশী গুরুত্বপূর্ণ, তারও ধারণা তৈরী হবে আর শেষ এই এক মাসে সেগুলিকেই অতিরিক্ত গুরত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
গত কয়েক বছরের ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স-এর প্রশ্নের ধারা বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ প্রশ্ন এসেছে তাপ গতিবিদ্যা, মডার্ন ফিজিক্স, মেকানিক্স, স্থির তড়িৎ, চল তড়িৎ, তড়িৎ প্রবাহের চৌম্বকীয় প্রভাব, আলোকবিজ্ঞান- এই অংশগুলি থেকে। তাই এগুলির রিভিশন সবার আগে করতে হবে। তার পর মহাকর্ষ, স্থিতিস্থাপকতা, সান্দ্রতা, তাপীয় প্রসারণ, তরঙ্গ বিজ্ঞান, গতিবিদ্যা, বল ও গতি, ঘর্ষণ, কার্যক্ষমতা শক্তি–এগুলি পড়ে ফেলতে পারলেই প্রস্তুতির অনেকটা এগিয়ে যাবে। অধ্যায়গুলি পড়ে এবং বুঝে নিজের সুবিধা মতো নোট বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে, যা পরীক্ষার আগের মুহূর্তের মুশকিল আসান হতে পারে।
প্রস্তুতির জন্য বাজারে লভ্য প্রশ্নোত্তরের (পূর্ববর্তী বছর গুলোর প্রশ্ন ও চ্যাপ্টারভিত্তিক প্রশ্ন– দুই-ই) বইগুলির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। তবে আগে অবশ্যই নিজেকে প্রশ্নগুলির সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে মাথা ঠান্ডা রাখাটা খুব জরুরি। সেই জন্য নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই সেখানে পৌঁছানোর চেষ্টা করা উচিত। যে অধ্যায়গুলিতে স্বাচ্ছন্দ্য বেশি আর যেগুলি কনসেপচুয়াল প্রশ্ন, সেগুলি আগে করতে হবে, তার পর অঙ্ক। সাধারণত আলোকবিজ্ঞানের প্রশ্নের উত্তর একটু সময়সাপেক্ষ হয়, তাই সেটা রাখা থাক শেষের জন্য।
পরামর্শ দিয়েছেন ‘ডঃ সুধীরচন্দ্র শূর ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি অ্যান্ড স্পোর্টস কমপ্লেক্স’-এর সহ অধ্যাপিকা সায়রী বিশ্বাস।