উইকেট নেওয়ার পর বরুণ চক্রবর্তী। ছবি: পিটিআই।
২০২০ সাল থেকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেন বরুণ চক্রবর্তী। গত পাঁচ বছরে নাইটদের মাঠ তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা। জানেন ইডেনে পিচের কোন জায়গায় বল করলে, কোন দিকে ঘুরবে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বুধবার তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হওয়া বরুণ জানালেন তাঁর সাফল্যের রহস্য।
পাঁচ বছর আগে কলকাতায় বরুণ ছিলেন রহস্য স্পিনার। ডাক পেয়েছিলেন ভারতীয় দলে। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে ছিলেন তিনি। কিন্তু সেই দল ব্যর্থ হওয়ার পর বরুণ বাদ পড়ে গিয়েছিলেন। প্রত্যাবর্তন হয়েছিল গৌতম গম্ভীরের হাত ধরে। গত বছর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দলে ফেরানো হয়েছিল বরুণকে। গুরুদক্ষিণাও দিলেন তিনি। যে সময় কোচ গম্ভীর প্রশ্নের মুখে, ঠিক সেই সময় বরুণের হাত ধরে দাপটের সঙ্গে জিতল ভারত।
উইকেট নিয়ে খুব বেশি উচ্ছ্বাস করতে দেখা যায় না বরুণকে। কোনও হাসি থাকে না তাঁর মুখে। ম্যাচ জিতিয়ে নির্লিপ্ত মুখেই বরুণ বলেন, “আইপিএলে এমন পিচ দেখে আমি অভ্যস্ত। পিচে পেসারদের জন্য অনেক কিছু ছিল। কিন্তু আমি জানি কোন লেংথে বল করলে ব্যাটারেরা সমস্যায় পড়বে। প্রতি ওভারে জস বাটলার এবং ইংল্যান্ডের সেরা ব্যাটারদের বিরুদ্ধে বল করা কঠিন, তবে ঈশ্বর আমার সঙ্গে আছেন।”
ম্যাচে চার ওভার বল করে ২৩ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন বরুণ। একই ওভারে তুলে নেন হ্যারি ব্রুক এবং লিয়াম লিভিংস্টোনের মতো ব্যাটারকে। আউট করেন ৬৮ রান করা বাটলারকেও। তিনিই ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডার ভেঙে দেন। যে ধাক্কা সামলাতে পারেনি ইংল্যান্ড। মাত্র ১৩২ রানে শেষ হয়ে যায় তারা। তবে তাতেও খুশি নন বরুণ। তিনি বলেন, “যখন স্পিন কাজ করে না, তখন বাউন্সকে কাজে লাগাতে হয়। আমি সেটাই করেছি। তবে এখনও নিজের সেরাটা দেওয়া বাকি। আমি নিজেকে ১০-এ ৭ দেব।” ভারতীয় সমর্থকেরা বরুণেরা সেরা বোলিংটা দেখার অপেক্ষায় থাকবেন।