টেট । প্রতীকী ছবি।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাইমারি টেট পরীক্ষার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি রয়েছে। ছাত্র ছাত্রীদের প্রস্তুতিপর্ব এখন প্রায় শেষেরই দিকে। ভাল নম্বর পেতে কোন বিষয়ে ঠিক কতটা জোর দিতে হবে তা এখন যারা যারা পরীক্ষাটি দিতে চলেছে আশা করি সেগুলি তাদের সকলেরই আয়ত্তে। যদি কেউ গণিতের স্টুডেন্ট হও তাহলে তার ইংরেজি বিষয়টিকে একটু শক্ত মনে হতেই পারে বা যার গণিত প্রস্তুতি অতটা ভাল নয় সে এই কয়েকদিন গণিতের দিকে বেশি নজর না দিয়ে বাকি বিষয়গুলির প্রস্তুতি ভাল করে নিতে পার। ডব্লুবিটেট পরীক্ষায় এই স্কোরকার্ডে ৯০ পেলেই পাশ কিন্তু চেষ্টা করতে হবে বেশি নম্বর পেয়ে পাশ করার কারণ প্রতিযোগিতা এখন খুবই তীব্র তাই যত বেশি স্কোর করা যাবে ততটাই সেফ। কোনও নেগেটিভ চিন্তা মাথায় আনলে চলবে না। প্রার্থীদের এই মুহূর্তে অবশ্যই ইতিবাচক মনোভাব থাকতে হবে।
ইংরেজি পরীক্ষার জন্য গ্রামারের উপর অবশ্যই খুব ভাল করে জোর দিতে হবে। দুটি করে রিডিং কম্প্রিহেনশন প্রতিদিন প্র্যাকটিস করতে হবে। পেডাগজি-এর প্রস্তুতির জন্যসিটেট-এর বিগত বছরের প্রশ্নগুলিকে দেখে যাওয়া আবশ্যিক। যতগুলি চ্যাপ্টার পড়া হয়ে গেছে সেগুলিকেই ভাল করে পড়তে হবে কারণ এই সময়টুকু আর কোনও নতুন অধ্যয়নের জন্য নয়। ইংরেজি পেডাগজিতে যতগুলি টিচিং মেথড আছে যার সাহায্যে ক্লাসরুমে ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিং করাতে হবে, সেই মেথডগুলি ভাল করে দেখতে হবে। যেমন—টপ-ডাউন অ্যাপ্রোচ, বটম-আপ অ্যাপ্রোচ, ইনডাক্টিভ মেথড, ডিডাক্টিভ মেথড, গ্রামার ট্রান্সলেশন মেথড ইত্যাদি। গ্রামারে সিনোনিমস, অ্যান্টোনিমস অবশ্যই দেখে যেতে হবে।
সময়ের মধ্যে যাতে পুরো প্রশ্নপত্র সল্ভ করা যায় তার জন্য কোনও প্রশ্নে প্রয়োজনের সময়ের চেয়ে বেশি সময় ধরে আটকে থাকা যাবে না। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে প্রার্থীকে অবশ্যই প্রতিটি বিষয় রিভাইজ করতে হবে। বিগত বছরের প্রশ্নগুলিকে অবশ্যই দেখতে হবে। অনুশীলন থাকলে তা গতিবৃদ্ধি করবে। নির্ভুলতাও বৃদ্ধি পাবে। যে বিষয়গুলিতে এখনও ভুল হচ্ছে সেগুলিকে সংশোধন করতে হবে। শরীরের পাশাপাশি মনকেও সুস্থ রাখতে হবে। সঠিকভাবে খাবার খেতে হবে এবং ঘুমোতেও হবে। সঠিক স্বাস্থ্য সাফল্যতাকে এগিয়ে আনবে। পরীক্ষার আগে আর নতুন কোনও কৌশল পরিবর্তন না করাই ভাল। যে কৌশলে প্রার্থীরা এগিয়েছে সেই কৌশল মেনে চলাই শ্রেয়। মকটেস্ট অবশ্যই দিতে হবে কারণ এই মকটেস্টগুলি প্রকৃত পরীক্ষার প্রস্তুতি করতে সাহায্য করবে। মক সমাধান করার সঠিক কৌশল বানাতে হবে এবং কোথায় দুর্বলতা আছে সেটাও দেখে নিতে হবে। মকটেস্ট প্রকৃত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই মুহূর্তে সবকিছু বারবার পড়া উচিত যাতে পরীক্ষার সময় খুব বেশি চিন্তা না করতে হয়। পরীক্ষার আগের দিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোনো উচিত, অপ্রয়োজনীয় চাপ না তৈরি করে। প্রার্থীদের তাদের হলটিকিট ও বৈধ পরিচয়পত্র নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে হবে।
আশা করি এই টিপসগুলি প্রার্থীদের কাছে অন্তর্দৃষ্টি পূর্ণ ছিল। শেষ মুহূর্তের এই টিপসগুলি প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। প্রার্থীদের অবশ্যই ও.এম.আর. উত্তরপত্রে নির্ভুলভাবে মার্ক করতে হবে একবার চিহ্নিত হলে তার পরিবর্তন হবে না। এই পরীক্ষার দিনগুলিতে তরতাজা মন নিয়ে দিন শুরু করে সতেজ থাকার উপায়গুলিকে অবলম্বন করে সকলে ভাল করে পরীক্ষা দেবে। বেস্ট অফ লাক।
এই প্রতিবেদনটি ‘রাইস এডুকেশন’-এর পক্ষ থেকে টেট পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে সংকলিত।