প্রতীকী ছবি।
কৃত্রিম মেধাকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়াতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্যোগী হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই বিভিন্ন স্তরের পড়ুয়াদের এই বিশেষ প্রযুক্তি সম্পর্কে সম্যক ধ্যানধারণা বাড়াতে পাঠ্যক্রমেও বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি, উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী কোর্সের সাহায্যে পড়ুয়াদের পেশাদারি দক্ষতার পাঠ পড়ানো হচ্ছে। এমনই একটি কোর্সের জন্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজির কলকাতার দফতর পড়ুয়াদের ভর্তি নেবে।
‘এআই ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েট’ শীর্ষক কোর্সটি করার জন্য পড়ুয়াদের ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার সায়েন্স, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, ইনফরমেশন টেকনোলজি কিংবা সমতুল্য বিষয়ে স্নাতকোত্তর কিংবা স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। তবে, চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়ারাও এই কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ ছাড়া ডেটা সায়েন্স কিংবা সমতুল্য বিভাগে কর্মরত ব্যক্তিরাও এই কোর্স করার সুযোগ পাবেন। ১১ ডিসেম্বর থেকে ক্লাস শুরু হবে। সংস্থার যাদবপুর ক্যাম্পাসে দুপুর ২টো থেকে ৫টা পর্যন্ত ক্লাস করানো হবে।
এই কোর্সটি সাহায্যে কী ভাবে পেশাদারি দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল কোর্সের কো-অর্ডিনেটর ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে কৃত্রিম মেধার সাহায্য পেশাদারি দক্ষতা না বাড়াতে পারলে স্নাতকোত্তীর্ণ পড়ুয়াদের পেশায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বহু ক্ষেত্রেই তাঁদের সঠিক পেশা নির্বাচন করতেও অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়। সেই কারণেই এই কোর্সটিতে পেশাদার হয়ে ওঠার জন্য যাবতীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও ডেটা সায়েন্স, মেশিন লার্নিং এবং রাশিবিজ্ঞান, গণিতের মতো বিষয়গুলির সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে অংশগ্রহণকারীদের ‘ইন্ডাস্ট্রি রেডি’ করার যাবতীয় পরামর্শ দেওয়া হবে, যাতে কোর্স সম্পূর্ণ হওয়ার পর পেশা নির্বাচন এবং আবেদনের জন্য বেশি সময় ব্যয় করতে না হয়।
পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে কৃত্রিম মেধার প্রয়োগ, বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধানের জন্য কৃত্রিম মেধাকে ব্যবহার করা, পেশাদার জীবনে কৃত্রিম মেধার যথাযথ ব্যবহারের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ— এই সমস্ত কিছুই উল্লিখিত কোর্সের মাধ্যমে শেখানো হবে। মোট দু’টি ক্লাসরুমে বসে অফলাইনে ক্লাস করার সুযোগ থাকায় পড়ুয়ারা হাতেকলমে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। মোট আসন সংখ্যা ৩০।
এই কোর্সটির জন্য মোট ২৫,০০০ টাকা ফি জমা দিতে হবে। চলতি বছরের এই কোর্সে ভর্তি হওয়ার আবেদন গ্রহণ করা হবে ৭ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর। ৮ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তি প্রক্রিয়া চালু থাকবে। আগ্রহী পড়ুয়াদের অনলাইনে একটি ফর্ম পূরণ করে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। তাঁদের আলাদা করে ৫০০ টাকা আবেদনমূল্য জমা দিতে হবে। কোর্স সম্পূর্ণ হওয়ার পর একটি পরীক্ষা দিতে হবে। ওই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে শংসাপত্র দেওয়া হবে। কোর্সে নাম নথিভুক্ত করার জন্য আগ্রহীদের প্রতিষ্ঠানের কলকাতার ওয়েবসাইটটি দেখে নিতে হবে।