সংগৃহীত চিত্র।
রাজ্যের স্কুল সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান পদে উদয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও কমিটি পুনর্বিন্যাসের বিজ্ঞপ্তি দিল না সরকার। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে ১৫ দিন পার কেটে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এখানেই রাজ্য স্কুল সিলেবাস বিশেষজ্ঞ কমিটির ভূমিকা ও নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষক মহলের একংশ।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “এই সরকারের আমলে নতুন সিলেবাস কমিটির সুপারিশে যে পাঠক্রম তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ে অধিকাংশ অভিভাবক অসন্তুষ্ট। সেই কারণে অনেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীনে স্কুলগুলোতে পড়াতে চায় না। সব কিছু নিয়েই গত ১৩ বছরে শিক্ষা ব্যবস্থায় যেন সার্কাস চলছে।”
কমিটির তরফ থেকে ইতিমধ্যে বিজ্ঞানের বিষয়গুলির সংশোধিত রিপোর্ট বিকাশ ভবনে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে বাংলা বা ইংরেজির সংশোধিত সিলেবাস এই কমিটিতে জমা না পড়ায় তা বিকাশ ভবনে এখনও পাঠানো হয়নি। সূত্রের খবর, চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের একাংশের দ্বন্দ্বে সঠিক ভাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারেনি সিলেবাস কমিটি। উচ্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে সিলেবাস বদল নিয়ে যে পরিকল্পনা চলছিল, তা হলে তা কি থমকে গেল? কমিটির নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার ফলে এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে শিক্ষক মহলে। কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, “নতুন নাম কেন দেওয়া হল না? বা যিনি আছেন তার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হল না কেন? দ্রুততার সঙ্গে এ কাজ না করলে নতুন করে মাঝপথে জট পাকবে।”
এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন চেয়ারম্যান উদয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি আগেই অব্যাহতি চেয়েছিলাম। আমার মেয়াদ শেষ হয়েছে ৩ অক্টোবর। নতুন করে মেয়াদ বৃদ্ধির কোনও চিঠি আসেনি মানেই ধরা যায় আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বাদবাকি বিষয় শিক্ষামন্ত্রী জানেন।”
শিক্ষা দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, পুজোর মধ্যে পুরো বিষয়টি হয়েছে। পুজো মিটলেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। উদয়ন বাবুর কাছেও মেয়াদ বৃদ্ধির চিঠি যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন তিনি। তবে মেয়াদ বৃদ্ধি করলেও তিনি দায়িত্ব নেবেন কি না, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।