Threat Culture in Education

থ্রেট কালচার থেকে নিস্তার চেয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি বৃত্তিমূলক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের

১০ দফা দাবি নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা ধর্মতলায় আমরণ অনশন চালাচ্ছেন। তাঁদের দাবিগুলির অন্যতম থ্রেট কালচার বন্ধ করা। এই আন্দোলনের মধ্যেই এ বার কারিগরি শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ।

Advertisement

অরুণাভ ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:২৭
Share:

সংগৃহীত চিত্র।

আরজি কর কাণ্ডের আবহে এ বার থ্রেট কালচারের অভিযোগ বৃত্তিমূলক শিক্ষকদেরও। এই মর্মে মুখ্য সচিবকে চিঠি দিলেন ন্যাশনাল স্কিল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেম ওয়ার্কের অস্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

Advertisement

১০ দফা দাবি নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা ধর্মতলায় আমরণ অনশন চালাচ্ছেন। তাঁদের দাবিগুলির অন্যতম হল থ্রেট কালচার বন্ধ করা। এই আন্দোলনের মধ্যেই এ বার কারিগরি শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে উঠল থ্রেট কালচারের অভিযোগ।

ফালাকাটা গার্লস হাইস্কুলের বৃত্তিমূলক শিক্ষিকা শ্রেয়া চৌধুরী বলেন, ‘‘বেশ কয়েক মাস ধরেই আমরা থ্রেট কালচারের শিকার হচ্ছি। বিভিন্ন আধিকারিকেরা বিভিন্ন সময়ে চাকরি চলে যাওয়ারও হুমকি দিচ্ছে। বেতন বাকি রয়েছে এক মাসের। অবিলম্বে এই পরিস্থিতির সুরাহা হওয়া উচিত।’’

Advertisement

২০১৩ সাল থেকে ‘ভোকেশনালাইজেশন অফ স্কুল এডুকেশন’-এর অধীনে রাজ্যের ৬১১টি সরকারি ও সরকারপোষিত উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ১৬টি বৃত্তিমূলক বিষয় পড়ানো হয়ে থাকে। এটি সমগ্র শিক্ষা মিশনের অন্তর্গত স্কুলশিক্ষা দফতরের প্রকল্প হলেও পরিচালনার দায়িত্বভার কারিগরি শিক্ষা দফতরের।

কারিগরি শিক্ষা দফতর আবার সরাসরি পরিচালনা না করে টেন্ডারের মাধ্যমে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে এই সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনা করিয়ে থাকেন। এখানেই অভিযোগ তুলেছেন অস্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁদের দাবি, বেসরকারি সংস্থা এবং সরকারি আধিকারিকদের দ্বারা ন্যাশনাল স্কিলস কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক-এর বৃত্তিমূলক শিক্ষকদের বিভিন্ন সময়ে হুমকি এবং ভয় দেখানো হয়। এমনকি সেপ্টেম্বর মাসের বেতন পর্যন্ত এখনও দেওয়া হয়নি।

এ প্রসঙ্গে এনএসকিউএফ শিক্ষক পরিবারের রাজ্য সম্পাদক শুভদীপ ভৌমিক বলেন, ‘‘আমাদের নিয়োগ করা হয় থার্ড পার্টি সংস্থার মাধ্যমে। যার ফলে বেতনও অনিয়মিত। এ ছাড়াও নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে মহিলা শিক্ষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এই সংক্রান্ত কোনও কিছু বলতে গেলেই বদলি থেকে ছাঁটাইয়ের হুমকির সম্মুখীন হতে হয় আধিকারিকদের দ্বারা। মুখ্যসচিবকে জানানোর পরেও তিনি নীরব রয়েছেন।’’

মুখ্যসচিবের কাছে দেওয়া চিঠিতে থ্রেট কালচারের উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আধিকারিকদের নিয়ে আলোচনা করে শাস্তির ব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছে। বর্তমানে বৃত্তিমূলক শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৩,২২২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। দ্রুত এই চিঠির উত্তর না এলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement