বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের জন্য চাহিদা রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। প্রতীকী ছবি।
সৌজন্য (কাল্পনিক নাম) সদ্যই হাইস্কুলে ভর্তি হয়েছে। কিন্তু সে আর পাঁচজন বাচ্চাদের থেকে একটু আলাদা। মানসিকভাবে সে এখনও বছর পাঁচেকের শিশু। তাই তার জন্য প্রয়োজন বিশেষ শিক্ষক এবং শিক্ষিকার। এই বিশেষ শিক্ষক-শিক্ষিকারা ব্যাচেলর অফ এডুকেশন স্পেশাল এডুকশন ইন মেন্টাল রিটারডেশনের ডিগ্রির পড়া সম্পূর্ণ করে থাকেন। এই ডিগ্রিই সৌজন্যের মত হাজারও খুদে পড়ুয়াদের পড়াশোনা ভাল ভাবে করার সুযোগ করে দেয়।
ব্যাচেলর অফ এডুকেশন স্পেশাল এডুকশন ইন মেন্টাল রিটারডেশন আসলে কী?
মানসিক ভাবে প্রতিবন্ধী পড়ুয়াদের সঙ্গে একজন শিক্ষক/শিক্ষিকা কী ভাবে ব্যবহার করবেন, কীভাবে তাঁদেরকে পরিবার, বন্ধু বান্ধবী, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির সঙ্গে পরিচয় করাবেন, সেই সমস্ত বিষয় শেখানো হয় এই বিশেষ কোর্সে। পাশাপাশি, আর পাঁচ জন সাধারণ পড়ুয়াদের মতই যাতে বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়ারা পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যেতে পারেন, সেই বিষয়টিও এই শিক্ষক/শিক্ষিকাদের শেখানো হয়ে থাকে।
কারা পড়তে পারবেন এই বিষয় নিয়ে?
যে সমস্ত পড়ুয়ারা স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে বিজ্ঞান বিভাগের কোনও বিষয়, সমাজবিজ্ঞান, কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলজি বিভাগের ডিগ্রি অর্জন করেছেন তাঁরা এই বিষয় নিয়ে পড়তে পারবেন। পাশাপাশি, তাঁদের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে ৫৫ শতাংশ নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক।
কোথায় পড়ানো হয় এই বিষয়টি?
১. ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটির অধীনে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর দ্য এমপাওয়ারমেন্ট অফ পার্সনস উইথ ইন্টাল্যাকচুয়াল ডিসএবিলিটিস কেন্দ্রে ২ বছরের এই বিশেষ কোর্স করানো হয়ে থাকে।
২. যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিকাশ কেন্দ্রের সঙ্গে যৌথ ভাবে এই কোর্স পড়ানো হয়ে থাকে সপ্তাহে ৫ দিন।
৩. বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ বছরের এই বিশেষ কোর্স করানো হয়ে থাকে।
কাজের সুযোগ কেমন?
বর্তমানে বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের শক্তি যোগাতে রাজ্য-সহ গোটা দেশেই গড়ে উঠেছে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ সহ স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষক/শিক্ষিকা হিসেবে সেই সমস্ত জায়গায় কাজের সুযোগের পাশাপাশি, স্বীকৃত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়েও কাজ করার সুযোগ রয়েছে। পরবর্তীকালে কেউ এই বিষয় নিয়ে এমফিল করতে চাইলে সেই সুযোগও রয়েছে।