প্রতীকী ছবি।
অনুৎপাদক সম্পদের সমস্যার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কড়া নজরদারির (পিসিএ) আওতায় ছিল ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক (ইউবিআই)। যার ফলে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি ছিল কলকাতা ভিত্তিক ব্যাঙ্কটির উপরে। গত ১ এপ্রিল থেকে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (পিএনবি) সঙ্গে মিশে যাওয়ায় সেই কড়াকড়ি উঠেছে। এখন অর্থনীতির উপরে করোনাভাইরাসের বিরূপ প্রভাবের মোকাবিলায় ক্ষুদ্র, ছোট, মাঝারি শিল্প-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রকে অতিরিক্ত ঋণ দেওয়ার রাস্তাও খুলে গিয়েছে তাদের সামনে। উল্লেখ্য, পিএনবির সঙ্গে মিশেছে ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অব কমার্স-ও।
করোনার মোকাবিলায় বিভিন্ন ক্ষেত্রের জন্য কয়েকটি ঋণ প্রকল্প চালু করেছে পিএনবি। সম্প্রতি ১২৬তম প্রতিষ্ঠাদিবসে ব্যাঙ্কটির এমডি-সিইও এস এস মল্লিকার্জুন রাও টেলিফোন সাক্ষাৎকারে আনন্দবাজার পত্রিকাকে জানান, তাঁদের প্রকল্পে ছোট উদ্যোগ, শিল্প, কৃষি, স্বনির্ভর গোষ্ঠী অতিরিক্ত ঋণ পাবে। সুবিধা মিলবে ব্যক্তিগত ঋণেও। তিনি বলেন, ‘‘পিসিএ-র আওতায় থাকায় ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধ ছিল ইউবিআইয়ের উপরে। পিএনবির সঙ্গে মিশে যাওয়ায় এখন আর সেই সমস্ত বাধা থাকছে না। ফলে ইউবিআইয়ের থেকে ঋণ নেওয়া ৪০,০০০ ছোট সংস্থা অতিরিক্ত ঋণ নেওয়ার সুযোগ পাবে।’’
পিএনবির প্রকল্প অনুযায়ী, ছোট সংস্থাগুলি বন্ধক ছাড়াই অনুমোদিত কার্যকরী মূলধনের উপরে অতিরিক্ত ১০% ঋণ পাবে। যে সব চাষির কিসান ক্রেডিট কার্ড রয়েছে, তাঁরা অনুমোদিত ঋণের ঊর্ধ্বসীমার উপরে আরও ২৫% অতিরিক্ত ঋণ পাবেন। তবে কোনও ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত ঋণ ৫০,০০০ টাকার বেশি হবে না। শোধের জন্য পাওয়া যাবে তিন বছর। আবার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রত্যেক সদস্য ৫০০০ টাকা করে ঋণ পাবেন। তবে একটি গোষ্ঠী সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত ঋণ পেতে পারবে।
শিল্প সংস্থাগুলিকে তাদের কার্যকরী মূলধনের উপরে বন্ধক ছাড়াই অতিরিক্ত ১০% টাকা ঋণ দেওয়া হবে। ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতার মাসিক বেতনের তিন গুণ অথবা ৩ লক্ষ টাকার মধ্যে যেটি কম, সেই অঙ্কই ঋণ পাওয়া যাবে। যা শোধ করতে হবে তিন বছরের মধ্যে।