অবাঞ্ছিত কল-এসএমএস আটকানোর বিধি নিয়ে চিঠি ট্রাই-এর
বাণিজ্যিক প্রচারের নাম করে গ্রাহকদের বেআইনি টেলিমার্কেটিং সংস্থার অবাঞ্ছিত ফোন এবং এসএমএস পাঠানো আটকাতে টেলিকম পরিষেবা-সহ বিভিন্ন সংস্থাকে যে নতুন বিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাই, তা পাকাপাকি ভাবে কার্যকর হচ্ছে ১ এপ্রিল, অর্থাৎ আগামী বৃহস্পতিবার। ‘গুচ্ছ বার্তা’ যাচাইয়ের সেই বিশেষ নিয়ম নির্বিঘ্নে চালু করতে তার আগে তাই কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট সমস্ত মন্ত্রক, টেলিকম সংস্থাগুলির সংগঠন সিওএআই, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের সংগঠন ন্যাসকম এবং এনআইসি-র মতো নোডাল এজেন্সিকে (যারা সরকারি পরিষেবা ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সাহায্য দেয়) চিঠি দিল টেলিকম নিয়ন্ত্রকটি। সূত্রের খবর, চিঠি গিয়েছে সিআইআই, ফিকি, অ্যাসোচ্যামের মতো বণিকসভা এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থাতেও।
বিভিন্ন ক্ষেত্রের সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষকে চিঠিতে নতুন বিধিটির বিস্তারিত নিয়ম-কানুন জানিয়েছে ট্রাই। সেই সঙ্গে অনুরোধ করেছে, তারা যেন নিজেদের আওতায় থাকা, সদস্য কিংবা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে পরামর্শ দেয় দেরি না-করে কড়া ভাবে এই বিধি মেনে চলার জন্য। উল্লেখ্য, ব্যাঙ্ক, পেমেন্ট সংস্থা, রিটেল, ই-কমার্স সংস্থার মতো যারা তাদের গ্রাহকদের গুচ্ছ এসএমএস বার্তা পাঠায়, তাদের জন্যই এই টেলি-বিপণন বিধি আসছে। বিভিন্ন পরিষেবা দিতে বহু সরকারি সংস্থাও বার্তা পাঠায়।
নতুন নিয়মে টেলিকম সংস্থাগুলির কাছে ফোন বা এসএমএসের উদ্দেশ্য জানিয়ে বিশেষ নম্বর নেওয়ার কথা এসএমএস প্রেরক সংস্থার। বাণিজ্যিক কারণে কল করার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। যাতে গ্রাহকেরা নম্বর দেখেই বুঝতে পারেন অবাঞ্ছিত নয়। কারণ, বাণিজ্যিক কারণে ওটিপি, বিশেষ কোডের (ই-কমার্স বা তেল সংস্থা) মতো বার্তা তাদের গ্রাহকদের পাঠায় বিভিন্ন সংস্থা। অথচ তাদের পাশাপাশি বহু বেআইনি টেলিমার্কেটিং সংস্থা নথিভুক্ত না-হয়েও গ্রাহকদের তথ্য জোগাড় করে অবাঞ্ছিত বার্তা পাঠায় বা ফোন করে বলে অভিযোগ। সে সব রুখতেই যে সংস্থাগুলি গুচ্ছ এসএমএস পাঠায়, তাদের টেলি সংস্থার কাছে নথিভুক্তি হয়ে অবিলম্বে ওই বিশেষ নম্বর থেকে কল করা বা এসএমএস পাঠানোর বিধি মানতে নির্দেশ দিয়েছে ট্রাই। তাদের হুঁশিয়ারি, ১ এপ্রিল থেকে যে সংস্থা ওই বিধি মেনে চলবে না, তারা গ্রাহকদের বাণিজ্যিক বার্তা পাঠাতে পারবে না।