প্রতীকী ছবি।
গত ১০ মার্চে শেষবার ৫১ হাজার পেরিয়েছিল সেনসেক্স। প্রায় আড়াই মাস পরে আবার পেরোল বুধবার। ৩৮০ পয়েন্ট উঠে থামল ৫১,০১৭.৫২ অঙ্কে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, দেশে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা আগের থেকে কমায় অর্থনীতির দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে ফের প্রত্যাশা বাড়ছে। এটাই প্রধান কারণ। যদিও অন্য অংশের হুঁশিয়ারি, বাস্তবের সঙ্গে সেই প্রত্যাশার কোনও যোগ নেই।
অনেকেরই আশঙ্কা, ৫১ হাজার পেরোলেও নড়বড়ে জমিতে বাজার অনিশ্চিতই। কারণ, অর্থনীতির তেমন উন্নতি হয়নি। উল্টে মূল্যবৃদ্ধি হার মাথা তুলছে। গাড়ি বিক্রি ফের তলানিতে। বহু স্থানে আর্থিক কর্মকাণ্ডে তালা। অনেক সংস্থার আরও রুগ্ণ হওয়ার আশঙ্কা। তাদের ঋণ শোধে সমস্যা হলে ব্যাঙ্কে অনুৎপাদক সম্পদ বাড়বে। বেকারত্ব ফের চড়ছে। ক্ষত গভীর হচ্ছে হোটেল, পর্যটন ও বিমান পরিবহণের মতো পরিষেবা সংস্থাগুলির।
দেকো সিকিউরিটিজ়ের ডিরেক্টর আশিস নন্দীর দাবি, ‘‘বাজারের আশা অতিমারি এ বার নিয়ন্ত্রণে আসবে। প্রতিষেধকের জোগান পেতে সরকারের পদক্ষেপগুলির সুফলও মিলবে শীঘ্রই। জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে বিভিন্ন সংস্থার ভাল ফল, এ বছর ভাল বর্ষার আশা বাড়তি উৎসাহ জোগাচ্ছে।’’ তবে তাঁর মতে, দুশ্চিন্তা যায়নি। কারণ, গ্রামীণ অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে। বহু পরিযায়ী শ্রমিক ঘরে ফেরায় স্থানীয় লকডাউনগুলি উঠলেও উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা। তাই অন্তত দু’মাস সূচক অস্থির থাকবেই।
বাজার বিশেষজ্ঞ কমল পারেখ বলছেন, ‘‘শেয়ারে মিউচুয়াল ফান্ডগুলির লগ্নি দ্রুত বেড়েছে। সাধারণ লগ্নিকারীরাও বিক্রি করছেন কম, কিনছেন বেশি। তবে সূচক যেখানে উঠেছে তাতে কৃত্রিমতা আছে। কারণ, তার সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই দেশের অর্থনীতির উন্নতি বা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির মুনাফার সামঞ্জস্য নেই।’’
তবে জিয়োজিৎ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের বিনোদ নায়ারের মতে, কেন্দ্রের থেকে নতুন আর্থিক প্যাকেজের প্রত্যাশাতেই এই উত্থান। এ দিন বণিকসভা সিআইআইয়ের প্রেসিডেন্ট উদয় কোটাক-ও মূলত গরিব এবং ছোট শিল্পের জন্য আর্থিক প্যাকেজের আর্জি জানিয়েছেন।