রিজ়ার্ভ ব্য়াঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
ফের সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। ফলে রেপো রেটের হল না কোনও বদল। এই নিয়ে টানা ১১ বার রেপো রেট একই রেখে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। ‘নিরপেক্ষ’ আর্থিক নীতি বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর তিন দিনের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠক শেষে রেপো রেট ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। আর তখনই এটি অপরিবর্তিত থাকছে বলে জানিয়ে দেন গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। এর জেরে আপাতত ৬.৫ শতাংশেই রইল সুদের হার। উল্লেখ্য, এ বার রেপো রেট কমবে বলে আশাবাদী ছিল বণিকমহল। কিন্তু বাস্তবে সেই রাস্তায় হাঁটল না কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
রেপো রেট অপরিবর্তিত থাকায় আপাতত বাড়ি বা গাড়ির ঋণে সুদ কমার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন আর্থিক বিশ্লেষকদের একাংশ। প্রসঙ্গত, যে সুদের হারে আরবিআই সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দিয়ে থাকে তাকেই বলে রেপো রেট। সাধারণত, এটি কমলে ব্যাঙ্কগুলি সুদের হার হ্রাস করে। বছর শেষে সেই আশা প্রায় রইল না বলেই মনে করা হচ্ছে।
রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখলেও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন আরবিআইয়ের গভর্নর। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘আমজনতার জন্য জিনিসপত্রের দামের স্থিতিশীলতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে আর্থিক বৃদ্ধির দিকেও নজর দিতে হবে। এই পথে মূল কাঁটা হল মুদ্রাস্ফীতি। এর সূচক অর্থনীতির ঊর্ধ্বগতির পক্ষে কঠিন হয়ে উঠছে।’’
এ ছাড়া মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠক শেষে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি বৃদ্ধির আনুমানিক হার সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। আরবিআইয়ের দাবি, চলতি আর্থিক বছরে (২০২৪-২৫) এর সূচক পৌঁছবে ৬.৬ শতাংশে। এই অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিক (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিকে (জানুয়ারি থেকে মার্চ) জিডিপির বৃদ্ধির হার ৬.৮ এবং ৭.২ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে আরবিআই।
এ ছাড়া পরবর্তী আর্থিক বছরের (২০২৫-২৬) প্রথম দু’টি ত্রৈমাসিকের জিডিপির সম্ভাব্য হার প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। আগামী বছরের এপ্রিল থেকে জুন এবং জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে জিডিপি ৬.৯ ও ৭.৩ শতাংশ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।