—প্রতীকী ছবি।
কাজের সময় নিয়ে করা মন্তব্যকে কেন্দ্র করে চলা বিতর্কে এ বার ঢুকে পড়লেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ‘ইনফোসিস’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি এবং নির্মাণকারী সংস্থা লার্সেন অ্যান্ড টুব্রোর (এলঅ্যান্ডটি) চেয়ারম্যান এসএন সুব্রহ্মণ্যনের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। যদিও অনেকেই তাঁদের কড়া সমালোচনা করেছেন।
সম্প্রতি ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর একটি অনুষ্ঠানে সাবেক অর্থমন্ত্রী চিদম্বরম বলেন, ‘‘মূর্তি এবং সুব্রহ্মণ্যনের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ওই কথা বলেছেন তাঁরা।’’ এর মাধ্যমে তাঁদের উন্নত দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে বলে দাবি করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
২০২৩ সালের অক্টোবরে কাজের সময় নিয়ে মুখ খুলে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন ‘ইনফোসিস’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি। তিনি সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করার কথা বলেছিলেন। সম্প্রতি আরও একধাপ এগিয়ে সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজের কথা বলেন এলঅ্যান্ডটির চেয়ারম্যান সুব্রহ্মণ্যন। শুধু তা-ই নয়, রবিবারও কাজ করার কথা বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।
এ প্রসঙ্গে চিদম্বরম বলেন, ‘‘বিপুল সাফল্য অর্জন এবং শীর্ষে পৌঁছনোর পর, আমি মনে করি মূর্তি এবং সুব্রহ্মণ্যনের এই ধরনের কথা বলার যোগ্যতা রয়েছে। মূলত উচ্চাকাঙ্খী তরুণ-তরুণীদের কথা ভেবে এই মন্তব্য করেছেন তাঁরা। সমৃদ্ধ জাতি হিসাবে গড়ে উঠতে কঠোর পরিশ্রম করতে তাঁদের অনুপ্রাণিত করেছেন মূর্তি এবং সুব্রহ্মণ্যন।’’
এর পর আট ঘণ্টা কর্মদিবসের বিবর্তনের কথা বলেন সাবেক কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘১৯১৮ সালে এই নিয়ে জার্মানিতে একটি আইন তৈরি হয়। কৃষিকাজে নিযুক্তেরা কোনও দিনই এই নিয়ম ঠিক মতো মানেননি। শিল্পক্ষেত্রে অবশ্য আট ঘণ্টা কাজের আইন কিছুটা মানার চেষ্টা হয়েছে। আবার চিকিৎসক বা আইনজীবীর পেশায় থাকা ব্যক্তিদের এই নিয়ম মেনে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি।’’