—প্রতীকী ছবি।
দেশের বিদেশি মুদ্রা ভান্ডারের বড় পতন। চলতি বছরের (পড়ুন ২০২৫) ১০ জানুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে অনেকটা কমেছে বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৮৭১.৪ কোটি ডলার কমে এটি ৬২,৫৮৭.১ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। আগের সপ্তাহে বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার কমেছিল ৫৬৯.৩ কোটি ডলার।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ডলারের নিরিখে ক্রমাগত পড়েছে টাকার দাম। এই অস্থিরতা কমাতে হস্তক্ষেপ করে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, এর জেরে অনেকটা কমেছে বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার। টাকার দামের পতন ঠেকাতে এই ভান্ডার থেকে আরবিআই বিপুল পরিমাণে ডলার খরচ করেছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের ৩ জানুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে ভারতের বিদেশি মুদ্রা ভান্ডারে ছিল ৬৩,৪৫৮.৫ কোটি ডলার। গত বছরের (পড়ুন ২০২৪) সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ সীমায় উঠেছিল বিদেশি মুদ্রা ভান্ডার। ওই সময়ে এতে ছিল ৭০,৪৮৮.৫ কোটি ডলার।
আরবিআই জানিয়েছে, ১০ জানুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে বিদেশি মুদ্রা ভান্ডারের অন্যতম বড় উপাদান বিদেশি মুদ্রার সম্পদের পরিমাণ কমেছে ৯৪৬.৯ কোটি ডলার। ওই সম্পদ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৩,৬০১.১ কোটি ডলার। বৈদেশিক মুদ্রা ভান্ডারের সম্পদের মধ্যে ডলার ছাড়াও রয়েছে ইউরো, ইয়েন এবং পাউন্ডের মতো আমেরিকা বহির্ভূত দেশের মুদ্রা। সম্প্রতি ডলার শক্তিশালী হওয়া এই মুদ্রাগুলিরও অবমূল্যায়ন হয়েছে।
বিদেশি মুদ্রা ভান্ডার কমলেও সোনার মজুত বাড়িয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। ৭৯.২০ কোটি ডলার মূল্যের হলুদ ধাতুর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে আরবিআইয়ের কাছে মজুত রয়েছে ৬৭,৮৮.৩ কোটি ডলার মূল্যের সোনা।