প্রতীকী ছবি।
চলতি অর্থবর্ষে (আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত) ভারতীয় জীবনবিমা নিগমের (এলআইসি) শেয়ার বাজারে প্রথম বার বিক্রি (আইপিও) করে তহবিল সংগ্রহের পথে হাঁটবে না কেন্দ্র। রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থাটির একটি সূত্র জানাচ্ছে, আগামী অর্থবর্ষ (২০২২-২৩) থেকে শুরু হতে পারে ওই প্রক্রিয়া।
প্রথম বার শেয়ার বিক্রি (আইপিও) করে তহবিল সংগ্রহের জন্য এলআইসি কর্তৃপক্ষ চলতি মাসেই শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি-র সায় পেয়েছেন। সরকারি বিধি অনুযায়ী এর ফলে কবে শেয়ার ছাড়া হবে, কত দিন কেনার সুযোগ খোলা থাকবে, কত দামে পাওয়া যাবে, কোন ধরনের লগ্নিকারীর জন্য কত ছাড় ইত্যাদি ঘোষণা করতে আর কোনও বাধা নেই এলআইসি-র কাছে।
চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বিলগ্নিকরণ থেকে ৭৮,০০০ কোটি টাকা রাজকোষে আনার লক্ষ্য স্থির করেছে কেন্দ্র। এর মধ্যে এলআইসি-র আইপিও থেকে ৬৩,০০০ কোটি টাকা তুলতে চায় সরকার। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্ব অর্থনীতিতে সঙ্কট তৈরি হওয়ায় আদৌ সেই লক্ষ্যপূরণ হবে কি না, সে বিষয়ে অর্থ মন্ত্রক আধিকারিকদের মনে সংশয় রয়েছে।
সেবি-র দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী আগামী ১২ মে-র মধ্যে আইপিও চালু করতে হবে এলআইসিকে। সে ক্ষেত্রে সংস্থার মূল্যায়ন হবে ৩০ সেপ্টেম্বরের ভিত্তিতে। কিন্তু ১২ মে-র বেশি দেরি হলে শেয়ার ছাড়তে ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকের ফল এবং মূল্যায়ন জানিয়ে নতুন নথি দিতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এপ্রিলের মধ্য়ে আইপিও চালু না-ও হতে পারে বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের মতে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম যে ভাবে চড়েছে, তাতে আগামী দু’মাসের মধ্যে ‘লক্ষ্যপূরণ’ খুবই কঠিন।
প্রসঙ্গত, শেয়ার বিক্রির অনুমতির জন্য সেবি-র দ্বারস্থ হওয়ার সময় ২০২১-এর ডিসেম্বরে সংস্থার ওয়েবসাইটে আইপিও সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল এলআইসি। যেখানে বলা হয়েছিল, আলাদা করে পলিসি হোল্ডারদের জন্য আইপিও রাখা হবে। কোম্পানির পলিসি হোল্ডাররা চাইলে ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলে সরাসরি এই শেয়ার কিনতে পারেন। তবে সেই ক্ষেত্রে দু’টি শর্ত রয়েছে। প্রথমত, ওই ব্যক্তির আধার নম্বরের সঙ্গে এলআইসি-র লিঙ্ক থাকতে হবে। দ্বিতীয়টি হল, সরকারি নথিতে অবশ্যই প্যান কার্ডের বিষয়ে আপডেট থাকতে হবে। কিন্তু এর শেয়ারের মূল্য কত হবে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।