প্রতীকী ছবি।
এই অর্থবর্ষের (৩১ মার্চ যা শেষ) মধ্যে এলআইসি-র শেয়ার বিক্রি করা যাবে কিনা, তা নিশ্চিত নয় এখনও। কারণ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে শেয়ার বাজার এখনও নড়বড়ে। কিন্তু প্রথম বার তাদের শেয়ার বিক্রি করে (আইপিও) তহবিল সংগ্রহের প্রস্তাবে সেবি সায় দেওয়ার পরই প্রশ্ন উঠছে, কত তাড়াতাড়ি ইসু খুলবে কেন্দ্র? কবে জানা যাবে শেয়ারের দাম-সহ যাবতীয় খুঁটিনাটি? বিশেষত গত সপ্তাহে সূচক কয়েক দিন ওঠার পরে নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন লগ্নিকারীরা। এই অবস্থায় শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির এক আধিকারিকের দাবি, হালে সূচক উঠেছে ঠিকই। অস্থির ভাবও কিছুটা কেটেছে। কিন্তু তাঁরা স্থিতিশীলতা ফেরার জন্য অপেক্ষা করবেন। যাতে খুচরো লগ্নিকারীরা শেয়ারে লগ্নি করার আস্থা ফিরে পান।
এলআইসি-র আইপিও থেকে ৬৩,০০০ কোটি টাকা তুলতে চায় সরকার। এ মাসে তা বাজারে আসে চলতি অর্থবর্ষে ৭৮,০০০ কোটি টাকা বিলগ্নিকরণের লক্ষ্য পূরণ হবে। তবে সেবির দাবি, মার্চে যদি না-ও হয়, সরকারের হাতে সময় আছে প্রায় দু’মাস। নতুন করে নথিপত্র দাখিল করতে না-চাইলে আইপিও আনতে হবে ১২ মে-র মধ্যে। তাতে সংস্থার মূল্যায়ন ৩০ সেপ্টেম্বরের ভিত্তিতে, আর্থিক ফল সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকের। কিন্তু তার বেশি দেরি হলে শেয়ার ছাড়তে ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকের ফল এবং মূল্যায়ন জানিয়ে নতুন নথি দিতে হবে। তবে ইঙ্গিত শেয়ারের মূল্যবন্ধনী শীঘ্রই জানানো হতে পারে।