—প্রতীকী ছবি।
ফের কর্মীদের পদোন্নতি পিছিয়ে দিল বহুজাতিক কনসালটেন্সি সংস্থা অ্যাকসেনচার। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ভারতীয় কর্মচারীদের মধ্যে ছড়িয়েছে হতাশা। গত বছর, অর্থাৎ ২০২৩ সালেও তাঁদের বেতন বৃদ্ধি করেনি এই সংস্থা। আর্থিক মন্দার কবলে পড়ায় এই সিদ্ধান্ত বলে সূত্র মারফত মিলেছে খবর। যা দেখে ভুরু কুঁচকেছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
আমেরিকান সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরেই কর্মীদের কাছে পদোন্নতি সংক্রান্ত একটি বার্তা দিয়েছে অ্যাকসেনচার। সেখানে পদোন্নতির বিষয়টি ছ’মাস পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। সাধারণত, ডিসেম্বরে কর্মীদের পদোন্নতির চিঠি দিয়ে থাকে অ্যাকসেনচার। যা ২০২৫ সালের জুনে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ওই বহুজাতিক কনসালটেন্সি ফার্ম।
বর্তমানে অ্যাকসেনচারের মোট কর্মীসংখ্যা সাড়ে সাত লক্ষ। বিপুল এই কর্মচারীদের মধ্যে চলতি আর্থিক বছরে কত জনকে পদোন্নতির চিঠি দেওয়া হবে, তা সংস্থার তরফে স্পষ্ট করা হয়নি। তবে এই কনসালটেন্সি সংস্থা জানিয়েছে, পেশাদার পরিষেবায় ব্যাপক মন্দা দেখা গিয়েছে। তাদের থেকে যারা পরিষেবা নেয় তারাও তাদের খরচ কমিয়েছে। ফলে আর্থিক ভাবে তাদের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ভারত ও শ্রীলঙ্কার কর্মীদের বিশেষ ইমেল পাঠায় অ্যাকসেনচার। সংস্থার তরফে সেই ইমেলে জানানো হয়েছিল, আর্থিক সঙ্কটের কারণে ব্যয় বৃদ্ধি হচ্ছে। এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন বহুজাতিক কনসালটেন্সি সংস্থাটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনিল ভিজ। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা প্রত্যেকের বার্ষিক কাজের খতিয়ান পর্যালোচনা করেছি। এর উপর ভিত্তি করে সবাইকে বোনাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) করা যায়নি।’’
এই আবহে চলতি বছরে ফের এক বার পদোন্নতির বিষয়টি সংস্থার তরফে পিছিয়ে দেওয়ায় ভারতীয় কর্মীদের মধ্যে বাড়ছে আশঙ্কা। আবারও একই বেতনে চাকরি করতে হবে না তো? এ বারও কি হবে না বেতনবৃদ্ধি? ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে এই সমস্ত প্রশ্ন।
গত বছর বিপুল সংখ্যক কর্মীছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করে বহুজাতিক গুগ্ল। আর্থিক অবস্থার উন্নতি না হলে অ্যাকসেনচার সেই রাস্তায় হাঁটতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।