—প্রতীকী ছবি।
বহুজাতিক সংস্থার ‘কাজের চাপ’ সহ্য করতে না পারায় মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রের পুণের ২৬ বছরের তরুণী চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিএ)-র। সম্প্রতি এমনই অভিযোগ ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এল আরও এক সিএ-র মর্মান্তিক পরিণতির খবর। মঙ্গলবার ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা করলেন মুম্বইনিবাসী এক সিএ। বাগ্দত্তা এবং তাঁর পরিবারের ‘হয়রানি’র কারণে তিনি নিজেকে শেষ করতে বাধ্য হচ্ছেন বলেও ফেসবুক লাইভে জানান তরুণ।
মৃত সিএ-র নাম সন্দীপ পাসওয়ান। বাড়ি ঝাড়খণ্ডে হলেও কর্মসূত্রে বিগত তিন বছর ধরে মুম্বইয়ের গোভান্দির একটি ভাড়ার ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। মঙ্গলবার সেই ফ্ল্যাটেই ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা করেন সন্দীপ। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ ফেসবুকে লাইভ করেন সন্দীপ। কাঁদতে কাঁদতে জানান, বাগ্দত্তার পরিবার তাঁকে লাগাতার হয়রান করছে। তাঁকে মারধরও করা হয়। আর সেই কারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন তিনি। সন্দীপের ফেসবুক লাইভ তাঁর বন্ধুদের নজরে এলে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ যখন সন্দীপের ভাড়ার ফ্ল্যাটে পৌঁছয়, তত ক্ষণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ওই সিএ-র মৃত্যুকে দুর্ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করলেও ফেসবুক লাইভের ভিডিয়ো খতিয়ে দেখে সন্দীপের বাগ্দত্তা এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।