—প্রতীকী ছবি।
রফতানিকৃত গয়না তৈরির ক্ষেত্রে সোনা, রুপো, প্ল্যাটিনামের মতো দামি ধাতুর অপচয়ের মাত্রা এ বার নির্দিষ্ট করে দিল কেন্দ্র। শুক্রবার, ১ নভেম্বর এই নিয়ে জারি হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন নিয়ম প্রযোজ্য হবে বলে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে।
কেন্দ্রের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এ বার থেকে রফতানির জন্য তৈরি করা গয়নায় সোনা ও প্ল্যাটিনামের সর্বোচ্চ অপচয় ২.২৫ শতাংশ গ্রাহ্য হবে। আগে যা ছিল ২.৫ শতাংশ। রুপোর গয়নার ক্ষেত্রে অপচয়ের পরিমাণ ৩.২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। মেশিনে তৈরি সোনা ও প্ল্যাটিনামের গয়নার ক্ষেত্রে অপচয়ের পরিমাণ ০.৪৫ শতাংশ অনুমোদিত হয়েছে।
একই ভাবে মেশিনে তৈরি রুপোর রফতানি অলঙ্কারে অপচয়ের মাত্রা ০.৫ শতাংশ রাখা হয়েছে। পাথরখচিত সোনা, রুপো ও প্ল্যাটিনামের গয়না তৈরিতে ৪ শতাংশ অপচয় অনুমোদন করা হয়েছে। এই অলঙ্কার মেশিনে কাটা হলে অপচয়ের মাত্রা ২.৮ শতাংশ অনুমোদন পাবে।
চলতি বছরের ২৭ মে রফতানিকৃত গয়না নির্মাণে অপচয়ের মাত্রা কতটা অনুমোদন করা যাবে, সেই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র। যা নিয়ে অলঙ্কার ব্যবসায়ীদের প্রবল আপত্তি ছিল। ওই নির্দেশিকায় সাদামাটা সোনা ও প্ল্যাটিনামের গয়নার ওজনে অপচয়ের মাত্রা ২.৫ শতাংশ থেকে ০.৫ শতাংশ করেছিল সরকার। একই ভাবে রুপোর ক্ষেত্রে ওজনের অপচয়ের মাত্রা ৩.২ শতাংশ থেকে ০.৭৫ নামিয়ে আনা হয়েছিল।
পাথরখচিত সোনা, রুপো ও প্ল্যাটিনামের রফতানি গয়নার ওজনে অপচয়ের পরিমাণ ৫ শতাংশ থেকে ০.৭৫ শতাংশে নামিয়ে আনে সরকার। যা সংশোধন করে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন্দ্র। উল্লেখ্য, রফতানির জন্য গয়না তৈরির ক্ষেত্রে যে দামি ধাতু আমদানি করা হয়, তাতে পুরোপুরি শুল্ক ছাড় রয়েছে। এই আইনের ফাঁক গলে রফতানির গয়না নির্মাণে অতিরিক্ত অপচয় দেখিয়ে বেঁচে যাওয়া ধাতু ঘরোয়া বাজারে বিক্রির অভিযোগ ওঠে অলঙ্কার ব্যবসায়ীদের একাংশের বিরুদ্ধে। যা আটকাতে এ বার অপচয়ের মাত্রা সরকার নির্দিষ্ট করে দিল বলে সূত্র মারফৎ মিলেছে খবর।