দুলাল সরকার। নিজস্ব চিত্র।
ওরা এল আর চোখের সামনে পর পর গুলি চালিয়ে চলে গেল! চোখের সামনে এমন ঘটনা, এখনও অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে!
আমার বাড়ি রায়গঞ্জে। কর্মসূত্রে থাকি ইংরেজবাজার শহরে। মহানন্দা পল্লি পাইপ ফ্যাক্টরি এলাকায় টোটোর শো-রুমে কাজ করি। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও আমি আর আমার সহকর্মী সুজন মণ্ডল সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ শো-রুম খুলেছিলাম। শো-রুমের উল্টো দিকেই তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকারের প্লাইউড ফ্যাক্টরি। রোজ উনি সকাল ১০টা নাগাদ নিজের চার চাকার গাড়িতে আসতেন, বেলা ১১টা নাগাদ বেরিয়ে যেতেন। এ দিনও সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কারখানার কাছে নির্মীয়মাণ আবাসনের সামনে গাড়ি থেকে নামেন। চালক গাড়ি পার্ক করতে সামান্য এগিয়ে যান। পিছন থেকে আচমকা মোটরবাইকে আসা চার জন দুলালবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। উনি ছুটে আমাদের শো-রুমের দিকে আসতে থাকেন। শো-রুমের সিঁড়িতে ওঠার আগে আরও এক বার গুলি করা হয়। সেই অবস্থায় উনি দৌড়ে শো-রুমে ঢোকেন। তখন দু’জন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাঁর পিছনে ছুটে আসে, আবারও গুলি করে শো-রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
কী ঘটছে, বুঝে উঠতে না পেরে আমি আর আমার সহকর্মী আতঙ্কে শো-রুম থেকে ছুট লাগাই। দুলাল সরকারকে গুলি করে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে দুষ্কৃতীদের তিন জন বাইকে চেপে মালদহ শহরের দিকে যায়। আর এক জন কোথায় গা ঢাকা দেয়, বুঝতে পারিনি। ঘটনার সময় থরথর করে কাঁপছিলাম! কী করব, বুঝেই উঠতে পারিনি। জীবন বাঁচাতে শো-রুম ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। তবে দুষ্কৃতীরা চলে যাওয়ার পরে জখম দুলালবাবুকে হাসপাতালে পাঠানোর কাজে আমিও হাত লাগাই। এখনও আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে। আমার পরিবারের লোকজনও আমায় নিয়ে খুব চিন্তিত।