—প্রতীকী চিত্র।
, ১১ নভেম্বর: ঋণে জর্জরিত ফিউচার রিটেলকে (এফআরএল) বাঁচানোর চেষ্টা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থই হল। দেউলিয়া হয়ে যাওয়া সংস্থাটিকে কেনার জন্য ঋণদাতা ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক সংস্থাগুলির পছন্দমতো উপযুক্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। ফলে কিশোর বিয়ানির ফিউচার গোষ্ঠীর এক সময়কার সব থেকে উজ্জ্বল নক্ষত্রের আলো চিরকালের জন্য নিভতে বসেছে। সব সম্পত্তি বিক্রি করে গুটিয়ে নেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে ফিউচার রিটেলের। যাদের ‘বিগ বাজার’ এক সময় দাপিয়ে বেড়িয়েছে দেশের খুচরো ব্যবসার জগতে।
দেউলিয়া আদালতে পুনরুজ্জীবনের জন্য যাওয়ার পরে যে রিজ়লিউশন অফিসারের হাতে সংস্থার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তিনিই এফআরএলকে গুটিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর আর্জি জানিয়েছেন।
এক সময় মুকেশ অম্বানীর রিলায়্যান্স কিনে নিতে চেয়েছিল ফিউচার রিটেলকে। পারেনি আমেরিকার ই-কমার্স অ্যামাজ়ন তার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেওয়ায়। ফিউচারের ওই সংস্থার অন্যতম লগ্নিকারী যারা। বিয়ানির আর্জি ছিল, লেনদেনের চুক্তি মাফিক রিলায়্যান্সের ২৪,৭১৩ কোটি টাকা পেলে হয়তো বেঁচে যাবে বিগ বাজ়ার, ফুড বাজ়ারের মতো ব্র্যান্ডগুলি। তবে এফআরএলের কিছু ব্যবসা হাতে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেও শেষ পর্যন্ত অ্যামাজ়নের খাড়া করা আইনি জটে আটকে সরে যেতে বাধ্য হন মুকেশ।
পরে দেউলিয়া আদালতে যাওয়া ছাড়া পথ খোলা ছিল না ফিউচার রিটেলের সামনে। সূত্রের খবর ছিল, সেখানে ফের মুকেশ সেটি কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। আদানি গোষ্ঠীও দৌড়ে ঢুকেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে নামটা সামনে আসে, সেটা স্পেস মন্ত্র-র। তারা ৫৫০ কোটি টাকা দর হেঁকেছিল। কিন্তু তাদের ফিউচার রিটেলকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর পরিকল্পনা পছন্দ হয়নি ঋণদাতা ব্যাঙ্ক ও আর্থিক সংস্থাগুলির। যাদের বকেয়া টাকা ফেরাতে না পারায় এফআরএলকে দেউলিয়া আদালতে যেতে হয়। তার পরেই রিজ়লিউশন প্রফেশনাল সংস্থার সব সম্পত্তি বেচে তাকে গোটানোর আবেদন করেছেন দেউলিয়া আদালতের মুম্বই বেঞ্চে।