শশী রুইয়া —ফাইল চিত্র।
কার্যত প্রথম ইটটি গাঁথা থেকে শুরু করে পুরো ইমারত তৈরি। আজকের সুবিশাল এসার গোষ্ঠীর জন্ম থেকে আড়বহরে বেড়ে ওঠা সে ভাবেই, তাঁরই হাতে। সেই শশীকান্ত রুইয়া সোমবার গভীর রাতে মুম্বইয়ে প্রয়াত হয়েছেন। বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। অনেক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। আমেরিকায় চিকিৎসা করিয়ে দেশে ফেরেন মাসখানেক আগে। মঙ্গলবার রুইয়া পরিবার এবং এসার গোষ্ঠী বিবৃতি জারি করে প্রবীণ শিল্পপতির প্রয়াণের খবর জানায়। তাঁর স্ত্রী মঞ্জু এবং দুই ছেলে প্রশান্ত ও অংশুমান রয়েছেন। শশীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শশীকান্ত রুইয়া শিল্পমহলে শশী রুইয়া নামে বেশি পরিচিত। শশী এবং তাঁর ভাই রবির কাজে হাতেখড়ি বাবা নন্দকিশোর রুইয়ার ছোট নির্মাণ সংস্থায়। সেই ব্যবসা বাড়াতে বাড়াতে ১৯৬৯ সালে দুই ভাই মাদ্রাজ পোর্ট ট্রাস্টের ২.৫ কোটি টাকার একটি নির্মাণ কাজের বরাত জোগাড় করেন। সেই সময়েই জন্ম এসার গোষ্ঠীর। তার পরে ব্যবসা ছড়িয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। ইস্পাত এবং টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নাম হয়ে ওঠে এসার গোষ্ঠী। হাচিসনের সঙ্গে জোট বেঁধে হয়ে ওঠে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা। যদিও পরে সেই ক্ষেত্র থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। এখন রুইয়া ভাইদের নিয়ন্ত্রিত এসার গ্লোবাল ফান্ডের অধীনে রয়েছে পরিকাঠামো, বিদ্যুৎ, ধাতু ও খনন, প্রযুক্তি এবং পরিষেবা ক্ষেত্রের বিভিন্ন সংস্থা। গোষ্ঠীর ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বার্ষিক ব্যবসার অঙ্ক প্রায় ১.২ লক্ষ কোটি টাকা।
এ দিন প্রধানমন্ত্রী এক্স-এ শিল্পপতির ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘শশীকান্ত রুইয়াজি শিল্প জগতে এক বিশাল নাম। তাঁর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্ব এবং অবিচল দায়বদ্ধতা দেশের ব্যবসার মানচিত্র বদলে দিয়েছিল।... শশীজির মৃত্যু গভীর দুঃখজনক।’’ শশী বণিকসভা ফিকি-র পরিচালন কমিটির সদস্যও ছিলেন।