টুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্ক, অধিগ্রহণের পরই সিইও পরাগকে ছাঁটাই করলেন

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি বিবৃতি দিয়ে জানান যে, তিনি টুইটার অধিগ্রহণ করছেন। মানবতার স্বার্থেই তাঁর এই পদক্ষেপ বলে বার্তা দিয়েছেন ইলন মাস্ক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সানফ্রান্সিসকো শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২২ ০৭:৫০
Share:

ইলন মাস্ক। ছবি রয়টার্স।

শেষমেশ টুইটার অধিগ্রহণ করলেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। ‘মাইক্রো ব্লগিং সাইট’ অধিগ্রহণের পরই সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকদের ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটলেন মাস্ক। আমেরিকার সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল ও সংস্থার ‘চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার’ নেড সেগালকে ছাঁটাই করা হয়েছে। সানফ্রান্সিসকোয় টুইটারের সদর দফতর ছেড়েছেন পরাগ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি বিবৃতি দিয়ে জানান যে, তিনি টুইটার অধিগ্রহণ করছেন। 'মানবতার স্বার্থেই' তাঁর এই পদক্ষেপ বলে বার্তা দেন মাস্ক। এ নিয়ে টুইটারে মাস্ক লিখেছেন, ‘‘কেন আমি টুইটার অধিগ্রহণ করলাম সে ব্যাপারে সকলকে জানাতে চাই। আরও অর্থ উপার্জনের জন্য কিনিনি। মানবতার জন্য কিনেছি। মানবতার ভবিষ্যৎ এমন হওয়া উচিত যেখানে সমস্ত পক্ষের স্বাধীন মতামত প্রকাশের একটা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থাকবে। সুস্থ পরিবেশে বিতর্ক হবে।’’ পাশাপাশি মাস্ক এও বলেছেন, ‘‘বর্তমানে বিপজ্জনক পরিস্থিতি রয়েছে, যেখানে সমাজমাধ্যম কট্টর দক্ষিণপন্থী ও কট্টর বামপন্থীদের কয়েকটি গোষ্ঠীতে ভাগ হতে চলেছে। যা সমাজে ঘৃণা ও বিভাজন বাড়াবে।’’

পাশাপাশি টুইটারে বিজ্ঞাপন নীতি কী হওয়া উচিত, সে নিয়েও বার্তা দিয়েছেন মাস্ক। তাঁর কথায়, বিজ্ঞাপন সঠিক ভাবে ব্যবহার করা হলে, তা মানুষকে অনেক তথ্য পেতে সাহায্য করবে। অপ্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপন ‘স্প্যাম’ বলে বর্ণনা করেছেন ধনকুবের।

Advertisement

এর আগে, বুধবার সান ফ্রান্সিসকোতে আচমকা টুইটারের সদর দফতরে ঢোকেন ইলন। বেসিন হাতে নিয়ে হাসিমুখে টুইটারের দফতরে মাস্ককে ঢুকতে দেখে তাজ্জব বনে যান সকলে। টুইটারের দফতরে যাওয়ার একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেন ইলন। বস্তুত, আমেরিকার আদালতের নির্দেশানুযায়ী শুক্রবারের মধ্যে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের অধিগ্রহণ চুক্তি চূড়ান্ত করতে হত মাস্ককে।

প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার খরচ করে টুইটার কেনার কথা ঘোষণা করেছিলেন ইলন। কিন্তু ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ক্ষেত্রে টুইটার যথাযথ পদক্ষেপ করছে না বলে দাবি করে সেই চুক্তি থেকে সরে আসেন মাস্ক। সংস্থার শেয়ার দর পড়তে থাকে। এর পরই আইনি লড়াই শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত মাস্ক টুইটার কিনতে পারবেন কি না, এ নিয়ে সংশয়ও দেখা যায়।

অন্য দিকে, টুইটার কেনার চুক্তি সম্পন্ন হলে সংস্থার প্রায় ৭৫ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করার পরিকল্পনা করেছেন মাস্ক, এমন খবর ছড়িয়েছে। টুইটার অধিগ্রহণের পর সিইও-সহ কয়েক জন আধিকারিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংস্থার কর্মীদের মধ্যে আশঙ্কার মেঘ দানা বেঁধেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement