প্রতীকী ছবি।
ইস্পাত, সিমেন্ট-সহ কয়েকটি কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির ফলে গত কয়েক মাসে বাড়ি-ফ্ল্যাটের দাম বেড়েছে। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ বাড়ানোয় ব্যাঙ্কগুলিও ঋণে সুদের হার বাড়িয়েছে। তা সত্ত্বেও করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে রোজগেরে মধ্যবিত্তের স্থায়ী ঠিকানা সম্পর্কে আগ্রহ বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে আবাসনের চাহিদা। আবাসন ক্ষেত্রের উপদেষ্টা সংস্থা নাইট ফ্র্যাঙ্কের সমীক্ষা অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে বৃহত্তর কলকাতা অঞ্চলে ৫৮১৯টি বাড়ি-ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। যা অগস্টের তুলনায় ৭% কম হলেও চলতি ক্যালেন্ডারবর্ষে তৃতীয় বৃহত্তম।
আর এক উপদেষ্টা অ্যানারকের রিপোর্ট, ২০২২ সালে গুরুত্বপূর্ণ সাতটি শহরে আবাসনের বিক্রি ৩.৬ লক্ষ ছাড়াতে পারে। নতুন প্রকল্পের সংখ্যা যদিও সেই হারে বাড়বে না।
অতিমারিতে ধাক্কা খাওয়া আবাসন ক্ষেত্রকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড়ের সুবিধা চালু হয়। দফায় দফায় তার মেয়াদ বেড়ে হয়েছে ডিসেম্বর। এরই মধ্যে বেড়েছে বাড়ি থেকে কাজের পরিসর ও স্থায়ী ঠিকানার খোঁজ। যা আবাসনের চাহিদাকে ঠেলে তুলেছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। নাইট ফ্যাঙ্ক জানিয়েছে, জুলাই, অগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে বৃহত্তর কলকাতায় বাড়ি ও ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে যথাক্রমে ৬৭০৯, ৬২৩৮ এবং ৫৮১৯টি।
অ্যানারকের রিপোর্ট, কলকাতা, দিল্লি ও রাজধানী অঞ্চল, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ এবং পুণে এ বছর আবাসন বিক্রিতে আগের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে। বিক্রি ছাড়াতে পারে ৩.৬ লক্ষ ইউনিট। ২০১৪ সালে তা ৩,৪২,৯৮০ ছিল। অ্যানারকের গ্রুপ চেয়ারম্যান অনুজ পুরী বলেন, ‘‘২০২২ সাল বাড়ির বাজারে ইতিহাস তৈরি করবে। উৎসবের বাকি মরসুমেও বিক্রির অবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী থাকবে।’’