—প্রতীকী ছবি।
রকেট গতিতে ছুটছে বিটকয়েন। বাড়তে বাড়তে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৫ লক্ষ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে এর দাম। বিটকয়েনের পাশাপাশি অন্যান্য ক্রিপ্টো মুদ্রার সূচকও ঊর্ধ্বমুখী। ফলে লগ্নিকারীদের অনেকেই এতে ঢেলে বিনিয়োগ করছেন। ক্রিপ্টো সম্পত্তি কিন্তু আয়করের আওতার বাইরে নয়। সে ক্ষেত্রে গ্রাহককে কর বাবদ কত টাকা জমা করতে হবে, আনন্দবাজার অনলাইনের এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
২০২২-’২৩ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রথম বার ক্রিপ্টো সম্পত্তির উপর কর ঘোষণা করে সরকার। ডিজিটাল মুদ্রার লাভের উপর ৩০ শতাংশ কর ধার্য করা হয়। এ ছাড়া ক্রিপ্টো সম্পদ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে অতিরিক্তি এক শতাংশ কর বা টিডিএস (ট্যাক্স ডিডাকটেড অ্যাট সোর্স) দিতে হবে গ্রাহককে।
আয়কর আইনের দু’নম্বর ধারার ৪৭(ক) উপধারায় বিটকয়েন-সহ যাবতীয় ক্রিপ্টো মুদ্রার করের বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। সেখানে ২০২২ সালের ১ এপ্রিল থেকে ক্রিপ্টো সম্পত্তির লাভের উপর থেকে চার শতাংশ সেস-সহ মোট ৩০ শতাংশ কর জমা করার কথা বলা হয়েছে।
ক্রিপ্টো লেনদেনের উপর কর ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী এবং একটি নির্দিষ্ট আর্থিক বছরের মধ্যে ডিজিটাল সম্পদ হস্তান্তরের সঙ্গে জড়িতদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এতে করের হার বিনিয়োগকারীর আয়ের স্তরের উপর নির্ভরশীল নয়। স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি লাভের মধ্যে ক্রিপ্টো করে কোনও পার্থক্য নেই।
ভারতের বাজারে ক্রিপ্টো লেনদেন হলে সঙ্গে সঙ্গে টিডিএস কেটে নিয়ে বাকিটা বিক্রেতার কাছে হস্তান্তরের কথা আয়কর আইনে বলা রয়েছে। ফলে এ ক্ষেত্রে ক্রেতাকে আলাদা করে আর কোনও কর দিতে হবে না। একটি অর্থবর্ষে বেতনভোগীদের ক্ষেত্রে ক্রিপ্টো সম্পদ হস্তান্তর ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে এবং বেতনবিহীন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকার বেশি হলে টিডিএস দিতে হবে।
চলতি বছরের নভেম্বরে আমেরিকার ভোটে দ্বিতীয় বারের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতেই ক্রিপ্টো মুদ্রার দাম হু হু করে বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বিটকয়েনের দাম। ট্রাম্প ক্রিপ্টো মুদ্রার বড় সমর্থক হওয়ায় এর দর ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: ক্রিপ্টো মুদ্রায় লগ্নি বাজারগত ঝুঁকিসাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই সেখানে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)