ইনফোকমের শেষ দিনে স্টলে উৎসাহী প্রতিনিধিরা। —নিজস্ব চিত্র।
প্রতি দিন এক ধাপ করে এগোচ্ছে প্রযুক্তি আর ক্রমশ বদলে যাচ্ছে জীবন। অগ্রগতির তালিকায় সব থেকে আলোচিত কৃত্রিম মেধা বা এআই। গবেষণাগারে তাকে জন্ম দিয়েছে যে মানুষ, তারই যাবতীয় কাজকর্ম মুহূর্তের মধ্যে অবলীলায় করে ফেলে চমকে দিচ্ছে গোটা বিশ্বকে। ফলে উন্নতির আবহ বয়ে আনছে কাজ হারানোর আশঙ্কাকেও। তবে শনিবার ইনফোকমের মঞ্চ থেকে বিশেষজ্ঞদের বার্তা, আশঙ্কার অনেকটাই অমূলক। বরং প্রযুক্তি যত এগোচ্ছে, তত বাড়ছে মানবসম্পদের গুরুত্ব। এআইয়ের জমানা যার প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়িয়েছে। শর্ত শুধু একটি, কর্মীদের নির্দিষ্ট কাজে দক্ষ হতে হবে।
শনিবার ছিল এবিপি গোষ্ঠী আয়োজিত তথ্যপ্রযুক্তি সম্মেলন ইনফোকমের শেষ দিন। এক আলোচনায় ইন্ডিয়া পাওয়ার কর্পোরেশনের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের শীর্ষ কর্তা সঞ্জীব সিন্হা বলেন, “প্রযুক্তি আকাশছোঁয়া উন্নতি করলেও, দক্ষ কর্মীর গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ তাঁদের দ্বারাই তা পরিচালিত হয়।”
আরপি সঞ্জীব গোয়েন্কা গোষ্ঠীর কর্তা অমিতাভ সেনগুপ্তেরও দাবি, “মানুষের কাজের বোঝা কমিয়েছে প্রযুক্তি। কিন্তু কর্মীদের উন্নতির প্রয়োজন কমায়নি। সেটা না হলে প্রযুক্তিকে কাজেই লাগানো যাবে না।’’ এর প্রমাণ মিলল হইচই টেকনোলজির ভাইস প্রেসিডেন্ট অলোক মজুমদারের কথায়। তিনি বলেন, “এআই দিয়ে এখন আকছার সিনেমা তৈরি হয়। তবে তাতে সাফল্যের ভাগ মাত্র ১৫% বা তারও কম।’’ তাঁর বার্তা, সফল হতে হলে আগে এই ক্ষেত্রে পারদর্শী কর্মী নিতে হবে। অ্যাডোব কর্তা গুরু বৈদ্যের স্পষ্ট কথা, ‘‘সব প্রযুক্তি ততটাই ভাল ও উপযোগী, যতটা তার পরিচালক।’’ রূপা অ্যান্ড কোম্পানির তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ কর্তা সৌরভ দাসের দাবি, ‘‘প্রযুক্তি সত্যিই কিছু চাকরি নষ্ট করেছে। কিন্তু ভারতে এখনও আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের সঠিক পরিবেশ তৈরি হয়নি। সেটা পাওয়া যাবে কর্মীদের উন্নতি হলে।’’
কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি ও পদক্ষেপ নিয়ে কথা বলেন আইটিসি-র মুখ্য প্রযুক্তি নিরাপত্তা আধিকারিক কৌশিক নাথ। জানান, কোন পদের জন্য কর্মী নেওয়া হচ্ছে তা স্পষ্ট জানানো জরুরি। জিয়োর গৌরব দুগ্গলের অভিমত, নিয়ন্ত্রকের নিয়ম মেনে প্রযুক্তি তৈরি ও তার যথাযথ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সঠিক মানব সম্পদের গুরুত্ব অনেক।