কিছু পরিষেবা দিতে বাধ্য ব্যাঙ্ক। —প্রতীকী ছবি।
ব্যাঙ্কে গেলেই বিভিন্ন সময়ে পরিষেবা পেতে হয়রানির শিকার হতে হয়। ব্যাঙ্ককর্মীদের বিরুদ্ধেও ওঠে নানা অভিযোগ। অনেক গ্রাহকই জানেন না, বেশ কিছু পরিষেবা পাওয়া গ্রাহকদের অধিকারের মধ্যে পড়ে। ব্যাঙ্ক যদি সেই পরিষেবা দিতে অস্বীকার করে, তা হলে গ্রাহকেরা অভিযোগও জানাতে পারেন। কী কী এমন পরিষেবা রয়েছে?
ছেঁড়া টাকা বদল করা: ছেঁড়া টাকা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে হয়রানির শিকার হতে হয়। অনেকেই হয়তো জানেন না, ছেঁড়া-ফাটা বা রং লাগা টাকা পাল্টানোর সবচেয়ে ভাল জায়গা ব্যাঙ্ক। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ অনুযায়ী দেশের সব ব্যাঙ্কই সব ধরনের ছেঁড়া-ফাটা টাকা নিতে বাধ্য।
ছেঁড়া টাকা বদল করার সেরা জায়গা ব্যাঙ্ক। —প্রতীকী ছবি।
আঞ্চলিক ভাষায় পরিষেবা: শুধু ইংরেজি বা হিন্দি ভাষাই নয়, দেশের সব ব্যাঙ্কই আঞ্চলিক ভাষায় সমস্ত পরিষেবা দিতে বাধ্য। অর্থাৎ এ রাজ্যের যে কোনও গ্রাহক টাকা জমা বা তোলা, সই করা-সহ সব পরিষেবাই বাংলায় পেতে পারেন।
স্ট্যাম্প পেপার কেনা: লকারের চুক্তির ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প পেপার লাগে। সরকারি ব্যাঙ্ক তো বটেই, বেসরকারি ব্যাঙ্কও বেশির ভাগ সময়ে স্ট্যাম্প কেনার দায় ক্রেতাদের উপরেই চাপিয়ে দেয়। কিন্তু স্ট্যাম্প কিনতে হয় ব্যাঙ্কের নামেই। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী পুরনো লকারের ক্ষেত্রে নতুন চুক্তি করার জন্য স্ট্যাম্প পেপারের খরচ দিতে হবে ব্যাঙ্ককেই। কেবলমাত্র নতুন লকারের ক্ষেত্রে এই খরচ বহন করবেন গ্রাহকেরা।
অনলাইনে লেনদেন না হলে জরিমানা: এটিএম, আইএমপিএস, ইউপিআই-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে টাকা কেটে নিলেও অনেক সময় অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকে না, বা যিনি পাঠিয়েছেন তাঁর ফেরত পেতেও দেরি হয়। নিয়ম হল ইউপিআই, কার্ড থেকে কার্ডে টাকা পাঠানো, আইএমপিএস, মোবাইল ওয়ালেটের ক্ষেত্রে টাকা পাঠানোর পরের দিনের মধ্যে টাকা ফেরত না হলে বা প্রাপকের কাছে না গেলে ব্যাঙ্কের ১০০ টাকা জরিমানা হবে। এটিএম থেকে টাকা না বার হলে এবং পাঁচ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলেও ব্যাঙ্কের ৫০০ টাকা জরিমানা হবে।
অক্ষম বা অসুস্থ গ্রাহকদের জন্য নিয়ম: অসুস্থ বা শারীরিক ভাবে অক্ষম গ্রাহকেরা অনেক সময়ে টাকা তোলার ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হন। এই ক্ষেত্রে দু’রকম সম্ভাবনা হতে পারে, হয় গ্রাহক টিপ সই দিতে পারছেন কিন্তু ব্যাঙ্কে যেতে পারছেন না, বা গ্রাহক ব্যাঙ্কেও যেকে পারছেন না, টিপ সইও দিতে পারছেন না। ব্যাঙ্কে না এসে কেউ টিপ ছাপ দিলে দু’জন নিরপেক্ষ সাক্ষী প্রয়োজন যেখানে এক জন অবশ্যই ব্যাঙ্কের কর্মী হতে হবে। অন্য দিকে, যিনি ব্যাঙ্কেও আসতে পারছেন না এবং টিপ সইও দিতে পারছেন না, তাঁকে চেক বা টাকা তোলার কাগজে দু’জন সাক্ষীর সামনে একটি চিহ্ন দিতে হবে। এই ক্ষেত্রেও দু’জন সাক্ষীর এক জনকে ব্যাঙ্ক কর্মী হতে হবে।