—প্রতীকী ছবি।
ন্যায় যাত্রার সময় রাহুল গান্ধীকে পিগি ব্যাঙ্ক উপহার দিয়েছিলেন তাঁদের সন্তানরা। ইডি হানার দশ দিনের মধ্যেই মধ্যপ্রদেশের সেই দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ভোপাল সেহোরের বাড়িতে। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশ জুড়ে। ব্যবসায়ী মনোজ পারমার ও তাঁর স্ত্রী নেহা পারমারের মৃত্যু নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেসও।
মধ্যপ্রদেশের সেহোরের শিল্পপতি মনোজ পারমারের বাড়িতে ও অফিসে অভিযান চালায় ইডি। পারমার পরিবারের ইনদওর ও সেহোরের চারটি বেনামি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির তথ্য পেয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট একটি দল তল্লাশি অভিযান চালায়। তল্লাশির পর, এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ৬ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে মনোজ পরমারকে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁদের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও মনোজ পারমারের অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে এই ঘটনার পর থেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন স্বামী-স্ত্রী দুজনেই। ইডির সেই হেনস্তার জেরে নিজেদের জীবন শেষ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা এমনটাই অভিযোগ তুলছে পারমার পরিবার।
একই অভিযোগ তুলে কংগ্রেসের তরফে দিগ্বিজয় সিং বলেন, ‘‘মনোজ পারমার ইডির হেনস্থার শিকার হয়েছেন। বিশেষত, তাঁর সন্তানেরা রাহুল গান্ধীকে ‘ন্যায় যাত্রা’র সময় পিগি ব্যাঙ্ক উপহার দিয়েছিল বলে।’’ মনোজও মনে করতেন কংগ্রেসকে সমর্থন করার জন্যই ইডি তাঁকে এই ভাবে হেনস্থা করছে। সমাজমাধ্যম এক্স হ্যান্ডল থেকে দিগ্বিজয় পোস্ট করে লেখেন, ‘‘মনোজের আইনি সাহায্যের জন্য আইনজীবীরও ব্যবস্থাও করেছিলাম। কিন্তু, মনোজ এতটাই ভয় পেয়েছিলেন যে আজ সকালে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন।’’ এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছেন তিনি।
মনোজের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এর আগেও উঠেছে। ২০১৭ সালে জাল নথি দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার অভিযোগে সিবিআই এফআইআর দায়ের করে মনোজের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মনোজ। ২০২২ সালে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট মনোজের সেই আর্জি খারিজ করে দিয়ে সিবিআইকে তদন্ত প্রক্রিয়া জারি রাখার নির্দেশ দেয়। পারমার দম্পতির ঘরে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে। তাতে কী লেখা আছে সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি এখনও।