ছবি: সংগৃহীত।
ভারতের নাগরিকত্ব পেতে সময় লেগে গেল চার দশকের বেশি সময়। পাকিস্তানের করাচিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন শেন সাবাস্তিয়ান পেরেরা। তাঁর জন্মের মাত্র চার মাস পরে গোয়াতে পৈতৃক গ্রামে বসবাস করতে ফিরে আসেন শেন ও তাঁর পরিবার। নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইনের আওতায় ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পেলেন শেন। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত মঙ্গলবার শেনের হাতে এই স্বীকৃতি তুলে দেন। এই বছরের অগস্টেই আরও এক পাকিস্তানি নাগরিক জোসেফ ফ্রান্সিস পেরেইরাকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়।
শেনের বাবা-মা গোয়ার অঞ্জুনার ডেমেলো ওয়াডো থেকে করাচিতে চলে যাওার পর ১৯৮১ সালে সেখানেই জন্মান শেন। তাঁর যখন চার মাস বয়স পরিবার-সহ তিনি গোয়ায় ফিরে আসেন। এখানেই তিনি তার স্কুলের পড়াশোনা শেষ করেন। ২০১২ সালে মারিয়া গ্লোরিয়া ফার্নান্দেজ় নামের এক ভারতীয় মহিলাকেও বিয়ে করেছেন শেন।
বহু বছর ধরেই তিনি এ দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে সংবাদমাধ্যমে জানান শেন। গত অগস্টে জোসেফ ফ্রান্সিস পেরেইরাকে নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘটনার কথা শুনে তিনি আরও একবার আবেদন করেন। সেই আবেদন ম়ঞ্জুর করে সরকার। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, শেন হলেন গোয়ায় বসবাসকারী দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি এই শংসাপত্রটি পেয়েছেন। নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইনে আরও অনেকে নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন করেছেন। তাঁদের আবেদনগুলির খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। শেনের মতো জোসেফ পেরেরাও স্বাধীনতার আগে গোয়া থেকে পাকিস্তানে পড়াশোনার জন্য যান। পরে সেখানে চাকরি নেন। তিনি পাকিস্তানের নাগরিকত্বও পেয়েছিলেন।২০১৩ সালে ভারতে ফেরার আগে করাচিতে বসবাস করতেন। জোসেফ ১৯৪৬ সালে দক্ষিণ গোয়ার পরোদা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অবসর গ্রহণের পর ২০১৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি ভারতে ফিরে আসেন।