আর্নেস্ট হেমিংওয়ের ‘দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি’ উপন্যাসটি পড়েছেন। সমুদ্রে মাছ ধরা কেন্দ্র করে এক বৃদ্ধের লড়াই। তাঁর প্রতি দিন খালি হাতে ফেরা। জীবনের কষ্ট। তার থেকে বড় কথা হাল ছেড়ে না দেওয়া। এই সব কিছু নিয়েই উপন্যাস। কিন্তু আপনি তা পড়ে উঠতে পারেননি। এই বার পুজোয় চলে যান বাঘা যতীন তরুণ সংঘ দুর্গৎসব কমিটিতে। তাঁদের এই বারের পুজো মণ্ডপ সেজে উঠছে ‘দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি’ উপন্যাসের আদলে।
১৯৫০ সালে পুজো শুরু করে বাঘাযতীন তরুণ সঙ্ঘ। এই বারে তাঁদের পুজো ৭৪তম বর্ষে। ২০১৭ সাল থেকে এই পুজো কমিটি থিম পুজোর দিকে ঝোঁকে। তার আগে পযর্ন্ত সাবেকি পুজো করা হত এই ক্লাবে। এখন থিমের পুজো হলেও সাবেকিয়ানার ছোঁয়া থাকছে। থিম প্রতিমার সঙ্গে সাবেকি প্রতিমা থাকছে। সাবেকি প্রতিমাই পুজো করা হবে। পুজো মণ্ডপে আলো, আবহ সঙ্গীতের কাজ থাকবে।
ক্লাবের কার্যকরী কমিটির সদস্য রজত ঘটক বলেন, ‘‘আমরা এই থিমে যেমন দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি উপন্যাসের বিষয় তুলে ধরছি এর সঙ্গে সঙ্গে জীবনের খারাপ সময়ে ধৈর্য না হারিয়ে লড়াই করা বার্তাও দিতে চাইছি।’’
থিম-দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি
থিম ও প্রতিমা শিল্পী-অভিজিত ঘটক
আলোক সজ্জায়- দীপঙ্কর দে
যাবেন কী করে- বাঘাযতীন রেল স্টেশন থেকে বেড়িয়ে রামঠাকুর আশ্রমের কাছে বাস স্ট্যান্ডের দিকে যেতে হবে। রামঠাকুর আশ্রমের বিপরীত দিকেই এই পুজো মণ্ডপে ঢোকার গেট শুরু।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।